আগামী কয়েক মাস পরেই ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের ভিলেজ কমিটির নির্বাচনের ঢংকা বেজে উঠবে। কিন্তু এস.ডি.সি প্রশাসন জনজাতিদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য কতটা ভূমিকা পালন করছে। এ.ডি.সি প্রশাসন থেকে জুম চাষের জন্য কানা কড়িও সাহায্য সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ। এমনই এক তথ্য চিত্র উঠে এলো আমাদের ক্যামেরায়। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গীয়াকামী আরডি ব্লকের অধীন বৈরাগী ঢেপা সংলগ্ন ছনবাড়ি এলাকায়।
তেলিয়ামুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুঙ্গিয়াকামি আর.ডি ব্লকের অধীন বৈরাগী ঢেপা সংলগ্ন ছনবাড়ি এলাকা। বর্তমানে ওই এলাকায় ৩৫ থেকে ৪০ টি পরিবারের বসবাস। প্রত্যেকটি পরিবারেই জুমিয়া পরিবার। এলাকার জুমিয়ারা কেমন রয়েছে এবং কতটা স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পেরেছে তারই খোঁজখবর নিতে এলাকায় যাওয়া। এই এলাকায় বসবাস করেন উত্তম কুমার দেববর্মা নামে জুমিয়া পরিবার। তিনি এবছর জুমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ১০০টি চাপা কলা গাছ রোপন করেছে। নিজের উদ্যোগে চাষাবাদ। এ.ডি.সি প্রশাসন থেকে জুম চাষের জন্য কানা কড়িও সাহায্য সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ। সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে এই চাপা গাছ কলার চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আশায় বুক বেধেছে উত্তম। কিন্তু প্রয়োজনীয় জলের অভাবে ৫০ টি কলা গাছের চারা নষ্ট হয়ে যায়। পরে আর বাকি ৫০ টি কলা চারা গাছ পরিপক্ষ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এতে উত্তম বাবু স্বাবলম্বী হওয়ার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে তিনি জানান। এও আবার সরকারি সাহায্য সহায়তা ছাড়াই। যা অনেকটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ কোন জুমিয়ার ক্ষেত্রে।।



