ত্রিপুরা সরকারের বন দপ্তর এবং রাজ্যের অন্যতম সামাজিক ও পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা সংস্থা অর্পণ -র যৌথ উদ্যোগে এবং ওএনজিসি- ত্রিপুরার সহায়তায় পরিবেশ সুরক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আজ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। সচিবালয়ের সামনে বৃহৎ বৃক্ষরূপন ও রান ফর গ্রীন ত্রিপুরা -শীর্ষক দৌড়ের মাধ্যমে মাসব্যাপী কর্মসূচির সূচনাপর্বে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বনমন্ত্রী নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা, নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, বিধায়ক ডা: দিলীপ দাস, আগরতলার মেয়র দীপক মজুমদার প্রমুখ। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থার এইজাতীয় উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে বৃক্ষরূপন সহ পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণ অভিযান অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।এক্ষেত্রে সরকারি দপ্তরই শুধু নয় অর্পনের মতো বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যাক্তিগত উদ্যোগও অত্যন্ত জরুরী।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভারত সরকার বিশ্বের দরবারে ক্ষতিকারক ভূ-উষ্ণায়নকারী গ্যাসের নির্গমন নিয়ন্ত্রনে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সে লক্ষ্য পূরণে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এজাতীয় উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখে, বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, মুখ্য প্রধান বন সংরক্ষক কে এস শেঠী, ও এন জি সি ত্রিপুরা -র সাপোর্ট ম্যানেজার পরমানন্দ সিনহা, চিফ ম্যানেজার পঙ্কজ রায় মণ্ডল, অর্পনের সম্পাদক ড: বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে ত্রিপুরাকে সবুজ করার অঙ্গীকার নিয়ে দুই শতাধিক দৌড়বীর উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের সামনে আজকের কর্মসূচি শেষ করেন।
অনুষ্ঠানে রাজ্য ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য দপ্তর এবং ত্রিপুরা স-মিল ওনার্স এবং টিম্বার মার্চেন্টস এসোসিয়েশন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। আগামী এক মাস ধরে অর্পণ সোসাইটি ও বন দপ্তর যৌথভাবে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে। গত কুড়ি বছ
রেরও বেশি সময় ধরে অর্পণ, পরিবেশ সুরক্ষার আন্দোলনে অগণিত মাইল ফলক স্থাপন করেছে এবং নিরলসভাবে কাজ করছে।



