দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ জিএসটি প্রত্যাহার করা সহ অন্যান্য দাবিতে শুক্রবার দুপুরে খোয়াই জেলা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে আইন অমান্য আন্দোলন সংগঠিত করা হলো। নৃপেন চক্রবর্তী এভিনিউ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের অবরোধ ভেঙ্গে কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থিতরা সুভাষ পার্ক কোহিনুর প্রাঙ্গণে এসে আরক্ষা প্রশাসনের হাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত শতাধিক কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অস্থায়ী জেল হিসেবে খোয়াই সরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই স্কুলে তখন ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা এবং অন্য বিভাগে ক্লাস চলছিল। স্কুল চলাকালীন সময়ে এভাবে আন্দোলনকারীদের সেখানে নিয়ে আসায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। তাদের বক্তব্য প্রশাসন কি করে স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এখানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এন্ড কালেক্টর হেমন্ত কুমার ধর জানান মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এর নির্দেশেই নাকি স্কুলে আনা হয়েছে। সঙ্গে তিনি আরো জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেই নাকি প্রশাসন এই ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও ডিসিএমের এই বক্তব্য অস্বীকার করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন দেববর্মা। তিনি জানান সকাল সাড়ে 11 টায় উনার বিদ্যালয়ে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এর সই করা একটি চিঠি আসে। এর ঠিক আধঘন্টা পরে হুড়মুড় করে গ্রেপ্তারকৃতদের স্কুলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে খোয়াই মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানিয়েছেন খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজিব সূত্রধর উনাকে এই স্কুলে অস্থায়ী জেলের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছিলেন। যার কারণে তিনি এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ ও প্রশাসনের এই ধরনের খামখেয়ালীপনা আর কতদিন চলবে।



