স্ত্রীর বন্ধুদের হাতে রামধোলাই খেলো স্বামী। বর্তমানে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার শহরের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত অম্পি চৌমুহনী এলাকায় বৃহস্পতিবার। অভিযোগ, তেলিয়ামুড়া নেতাজি নগর এলাকার বাসিন্দা রিমা দেবের সঙ্গে আজ থেকে এক বছর পূর্বে আমবাসা এলাকার বাসিন্দা তাপস ব্যানার্জীর পুত্র তরুণ ব্যানার্জীর সঙ্গে বিবাহ হয়। যদিও বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে শুরু হয় পারিবারিক বিবাদ। আর এই পারিবারিক ঝামেলার মূল কারণ ছিল একমাত্র সর্বনাশা ড্রাগসের নেশা। স্ত্রী অভিযোগ করে জানান, স্বামী তরুণ ব্যানার্জি প্রায়শই ড্রাগসের নেশায় আসক্ত হয়ে স্ত্রী তথা রিমা দেবের উপর নির্যাতন চালাতো। নির্যাতন এমন পর্যায়ে পৌঁছয় বাধ্য হয়ে স্ত্রী একবার তিন মাসের জন্য নিজের বাপের বাড়িতেও চলে আসে। তখন স্বামী তিন মাস ঘর জামাই এসে তেলিয়ামুড়া স্থিত শশুর বাড়িতে থাকতে শুরু করে। শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন সময়ে শাশুড়ি সহ স্ত্রীর বিভিন্ন স্বর্ণালংকার তেলিয়ামুড়ার বিভিন্ন জায়গায় এনে বিক্রি করে দেয় ওই স্বামী বলে অভিযোগ। এর মূল কারণ নেশার টাকা যোগান দেওয়ার জন্য স্বর্ণালংকার গুলো বিক্রি করে দিত বলে অভিযোগ। যদিও পরবর্তীতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে স্ত্রী পুনরায় গিয়ে আমবাসা স্থিত শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করে। কিন্তু পুণরায় স্ত্রী তেলিয়ামুড়া বাপের বাড়িতে আসার পর স্বামী এসে বৃহস্পতিবার সকালে আচমকাই শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে মারতে শুরু করে। আর এতে চুপ থাকতে না পেরে স্ত্রী তার বন্ধুদের খবর দিয়ে ডেকে এনে অম্পি চৌমুহনী এলাকায় প্রকাশ্যে জনতার সামনেই রাম ধোলাই দেয়। রাম ধোলায়ের মাত্রা এতটাই ছিল স্বামীকে তেলিয়ামুড়া অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের গাড়ি যোগে নিয়ে আসা হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে অচৈতন্য অবস্থায়। ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে ছুটে আসে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী। তবে বলা চলে বৃহস্পতিবার তেলিয়ামুড়ার অম্পিচৌমুনী এলাকার মানুষজন সাক্ষী থাকলো এক অভূতপূর্ব ঘটনার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।।



