খোয়াই থানাধীন পহরমুরা এলাকাতে নিজ ঘরে খুন হয়ে গেলেন 75 বর্ষীয়া এক বৃদ্ধ মহিলা। এই ঘটনাটি রবিবার সকালে প্রকাশ হতেই খোয়াই মহাকুমায় জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জানা যায় মৃত মহিলার নাম আরতী দাস গোয়ালা 75 একজন বৃদ্ধ মহিলা ছিলেন পাশাপাশি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের দীক্ষিত ছিলেন। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের নিয়ম-আচার মেনে চলতেন উনার স্বামী নন্দ গোয়ালা 17 বছর আগে মারা গেছেন। এরপর এই জায়গাতেই থেকেন মহিলা আর কোথাও যাননি। তবে এমন একজন মহিলাকে কে বা কারা খুন করল এই বিষয়ে পুলিশ এখনো নিশ্চিন্ত হতে পারেনি এমনকি কাউকে গ্রেপ্তার ও করতে পারেনি পুলিশ। একজন বৃদ্ধ মহিলার পাশাপাশি তিনি ছিলেন শান্ত স্বভাবের সর্বদাই নিরিবিলি থাকতে ভালবাসতেন যে জায়গাতে উনার ঘর সেই জায়গাটি ছিল সরকারি জমি ওখানেই এলাকার মানুষ ঘর তৈরি করে দেয়। মহিলার কাছে নাছিল জায়গা জমি না ছিল কোন টাকা পয়সা এরপ কি কারনে মহিলাকে খুন হতে হলো এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন চলছে । যার কাছে কোনো সম্পদ নেই পাশাপাশি একজন বৈষ্ণব এই মহিলা কে হত্যা করল সেই প্রশ্নই ঘুরছে ধলা বিল এলাকাবাসীর মনে।এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা আরতী ভক্ত জানান মৃত লক্ষ্মী দাস গোয়ালা বিগত কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ইদানিং একটু ভালো হওয়ার পর ঘর থেকে বের হতেন কিন্তু রবিবার সকাল 9 টা নাগাদ প্রতিদিনের নায় আরতি ভক্ত ওই মহিলাকে ডাকার জন্য উনার বাড়ি গেলে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা এবং অনেক ডাকাডাকি করেও লক্ষ্মী দাস গোয়ালা কোন উত্তর দিচ্ছেন না তাই দেখে আরতী ভক্ত গ্রামের প্রধানসহ অন্যান্য লোকদের ডেকে আনেন এরপর সবাই দেখতে পায় যে মহিলা নিজ বিছানায় মরে পড়ে আছে নাকে মুখে দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। এমনকি মৃত মহিলা রাতের খাবার টা পর্যন্ত খাই নি যেমন ঢাকা ছিল তেমনি রয়েছে। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশকে খবর পেয়ে খোয়াই থানার পুলিশ, পুলিশ আধিকারিক সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে তল্লাশি করে পুলিশ একটি দা একটি শাবল উদ্ধার করে। এবং মৃত মহিলার শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা মহিলা কে খুন করা হয়েছে। অথচ মহিলার সাথে কারো কোন বিবাদ ছিল না কেননা কোন টাকা-পয়সা জায়গা জমি উনার কাছে ছিল না এরপরও কে বা কারা হত্যা করল এই নিয়ে এলাকাবাসী ধন্দে রয়েছেন। জানা যায় মৃত মহিলার তিন ছেলে রয়েছেন যারা কর্মসূত্রে দিল্লীতে থাকেন এবং দুই মেয়ে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে তাদের সবাইকে খবর দেওয়া হয়। কি কারনে মহিলা কে হত্যা করা হলো এ নিয়ে কোন ধারণা করা যায়নি। যদিও পুলিশ দুপুরে ফরেনসিক দলকে ডেকে পাঠান পাশাপাশি ডগ স্কোয়াড কেও আনা হয় ডগ স্কোয়াড এর কুকুর আসামির কোন হদিস পায় নি। এলাকাবাসীরা জানান মহিলাকে বারবার বলা হয়েছে যাতে ছেলেদের কাছে গিয়ে থাকে এই বৃদ্ধ অবস্থায় কিন্তু মহিলা নাছোড়বান্দা স্বামীর ভিটা ছেড়ে কোথাও যাবেন না। আর সেই চিন্তা ভাবনাই তেই মহিলার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেন এলাকাবাসী। এমন একজন বৃদ্ধ মহিলাকে হত্যা করার কারণে সমস্ত পহর মুরা গ্রাম এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মহিলার মৃতদেহ কে খোয়াই জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে ময়নাতদন্ত করা হবে এরপরে পুলিশ সঠিক বুঝতে পারবে মহিলা কে হত্যা করা হয়েছে না অন্য কিছু।



