বিজেপির জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ, বিধানসভায় অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্রতী হয়েছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলি পরিদর্শন করে, বিদ্যালয় শিক্ষকদের উন্নয়নের নানাবিধ জ্ঞান বিতরণ করেন। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতিটা যে কি পরবর্তী সময় বোধ হয় শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষার উন্নয়নের কথা ভীষণ ডকুমেন্টে স্থান দিয়ে, রাজ্যের মানুষরে উদ্দেশ্যে যেভাবে আশার আলো বিতরন করেছিলেন, কিন্তু বাস্তব চিত্রটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্কুলগুলি প্রায় বন্ধের মুখে। ইদানিং কালে শিক্ষা দপ্তর, বহু স্কুল একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদ্যোগী হয়েছে। আর অন্যদিকে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা হাল দেখে অভিভাবক অভিভাবিকা, নিজেদের ছেলে-মেয়েকে সরকারি বিদ্যালয় থেকে নিয়ে এসে, প্রাইভেট বিদ্যালয় গুলিতে ভর্তি করানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা দ্রুতগতিতে রাস পাচ্ছে, বলতে গেলে যে সমস্ত অভিভাবক অভিভাবিকা, অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল কেবলমাত্র তাদের ছেলেমেয়েরাই সরকারি স্কুলগুলোতে অগত্যা রয়ে গেছে। এই অবস্থায় যদিও বা দুইএকটি স্কুলে এখনো কিছু ছাত্র-ছাত্রী অবশিষ্ট আছে, তার উপর শিক্ষক স্বল্পতা দু-একজন শিক্ষক স্কুলে আছেন তারাও ঠিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, কিন্তুু দক্ষিণ রাঙ্গা মুড়া জেবি স্কুল রাজনগর স্কুল ইন্সপেক্টর এর অধীন এই স্কুলটিতে সবমিলিয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে ৭১ জন কিন্তু দুর্ভাগ্য শিক্ষক সংখ্যা মাত্র দুজন তার মধ্যেও এক শিক্ষক মহাশয় আবার প্রায়সই দিবানিদ্রায় মগ্ন থাকেন। এই গুনধর শিক্ষকের নাম সুনিল চন্দ্র দাস। উনি কিন্তু আবার, রাষ্ট্রবাদী শ্রমিক সংগঠন বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের সক্রিয় সদস্য।



