বর্তমান সময়ে সমাজের যুবকরা একপ্রকার উচ্ছন্নে গেছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। বর্তমান সময়ে যুবকরা নেশা করতে অথবা রাতারাতি বড়লোক হবার ধান্দায় নেশা বাণিজ্যের সাথে উতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। একদিকে যেমন ওই যুবকরা নিজেরা নেশা করে নিজেদেরকে ক্ষতি করছেন অন্যদিকে সেই নেশা পাচার করে অন্য যুবকদেরকে নেশাখোর বানিয়ে সমাজকে নষ্ট করছে। অন্যদিকে পুলিশ ওইসব নেশাখোরদের গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানোর পরও দেখা যাচ্ছে সমাজে একদিকে না একদিকে আগাছার মতন আরো অনেক নেশা কারবারি জন্ম নিচ্ছেন। আর তাতে করেই বর্তমান সময়ে যুবসমাজ একপ্রকার ধ্বংসের মুখে। দেখা গেছে খোয়াই মহাকুমার বিভিন্ন অলিগলি, বিভিন্ন এলাকা সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেশা কারবারিরা মজুদ রয়েছে। আর এরাই পয়সার বিনিময়ে সমাজের বিভিন্ন যুবকদের হাতে ব্রাউন সুগার এর মত মারাত্মক ধরনের বিষ জাতীয় নেশা সামগ্রী তুলে দিচ্ছে। এই নেশা টি এমন একটি জিনিস যা খেলে মুখে কোন ধরনের দুর্গন্ধ করে না কিন্তু ব্যাপক পরিমাণে নেশা হয়। আর এই নেশা করতে গিয়ে যুবকরা বাড়ি ঘর থেকে টাকা-পয়সা চুরি করা থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন দোকানপাট বাইক, বাইসাইকেল ইত্যাদি চুরি করে বিক্রি করে নেশার জন্য পয়সা যোগান দিচ্ছে। আর এই ধরনের নেশা কারবারিদের কে পুলিশ সময়ে সময়ে গোপন সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠাচ্ছে। তেমনি ভাবে একটি ঘটনা ঘটল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খোয়াই থানার পুলিশ নেশা কারবারি দলের মাস্টারমাইন্ড খোয়াই লালছড়া নিবাসী মনোধির গোপ এর ছেলে অভিজিৎ গোপ 29 এর কাছ থেকে 100 কৌটা ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয় তার বাড়ি থেকে তল্লাশির সময়। একটি সূত্রে এও জানা যায় নেশা কারবারি অভিজিৎ গোপ নাকি বাইক বাহিনীর সরদার। শুধু তাই না এই ধরনের অনেক ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা ও রয়েছে অভিজিৎ গোপের। শেষে পুলিশ অভিজিৎ গোপ কে গ্রেফতার করে খোয়াই থানায় নিয়েএসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে যাতে আরো অন্যান্য নেশা কারবারিদের হদিস পায়। পুলিশ তার বিরুদ্ধে এন ডি পি এস ধারায় মামলা নিয়ে আদালতে তোলা হলে আদালত অভিজিৎ গোপ কে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।নেশা বিরোধী অভিযানে নেমে বড় ধরনের সফলতা পেল পুলিশ। নিজ বাড়ি থেকে নেশার সামগ্রীসহ 1 ব্যক্তিকে আটক করল পুলিশ।



