Thursday, December 4, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদঅবৈধ নকল মদের ছড়াছড়ি গোটা মোহনপুর মহকুমায়

অবৈধ নকল মদের ছড়াছড়ি গোটা মোহনপুর মহকুমায়

মোহনপুরের অতি সুপরিচিত মুখ মাদক ব্যাবসায়ী সুব্রত রায়। আজ সদর উত্তরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নকল মদ তৈরীর কারখানার মালিক সুব্রত। আজ থেকে প্রায় চার বছর আগে সিধাই ওসি সুব্রত দেবনাথ থাকাকালীন সময়ে তুলাবাগান অফিস টিলা এলাকায় সেম একটি নকল বিলেতি মদের কারখানায় হানা দিয়েছিল পুলিশ। মিলেছিল লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার প্রচুর পরিমানে বিলেতি মদ খালি মদের বোতল। এরপর থেকে একেবারে চুপচাপ পুলিশ। কিছুদিন শান্ত থাকার পর ই জায়গা এবং মালিক পাল্টে আবার ময়দানে নামে সেই মাদক কারবারি সুব্রত রায়। অভিযোগ পুলিশের উচ্চ পদস্ত আধিকারিক থেকে শুরু করে সে পুলিশের এস পি স্তর অব্দি অর্থ দিয়ে ব্যাবসা চালাচ্ছেন।স্থানীয় থানা গুলি সবকিছুতে অবগত থাকলেও ভয়ে সুব্রতর নিকট এগোতে চান না। সূত্রর খবর গোমতী জেলার অমরপুর মহকুমা জুড়ে ছিল এই সুব্রতর সুবিশাল অবৈধ মাদক ব্যাবসা। আজ থেকে সাতবছর আগে কোন এক নিকটাত্মীয় হাত ধরে মোহনপুরে তারানগর এলাকায় ওর আগমন। অনুকূল পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে মোহনপুর দক্ষিণ তারানগর গ্রামে সে ছোট আকারে ফেন্সিডিল,বিলেতি মদ সহ আরও নানান কিছুর ব্যাবসা শুরু করেন। প্রশাসনের সর্বস্তর অব্দি ভাল সম্পর্ক বানিয়ে সুব্রত দক্ষিণ তারানগর বিদ্যালয় সংলগ্নে বাড়িঘর বানিয়ে সেখানে গড়ে তুলে নেন তার মাদক শিল্পের কারখানাগুলো। দক্ষিণ তারানগর তার বাড়িতে তৈরী হয় নকল বিলেতি মদ,এই স্থানেই এগুলি বিভিন্ন রকমারি বোতলে ঢুকিয়ে সিল মারা হয়। প্রায় দশজনের মতো লোক তার এই কাজে নিয়োজিত থাকলেও,মদ সহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য বাজারজাত করার কাজটা সুব্রত নিজেই করেন। টিভিএস কোম্পানির নম্বরবিহীন একটি স্কুটিতে করে সে মোহনপুর সহ সদর উত্তরের কালিবাজার,দূর্গাবাড়ি,গান্ধীগ্রাম,লেম্বুছড়া,ফটিকছড়া,বড়কাঠাল,পঞ্চবটী বাজার ইত্যাদি স্থানে ব্যাবসায়ীদের কাছে এগুলো পৌঁছে দিয়ে থাকেন। স্থানীয় থানার পুলিশদের বিভ্রান্তিতে ফেলবার জন্যে সুব্রত তার নম্বর বিহীন স্কুটির একেক সময় একেক রং করে ডিজাইন ধরিয়ে চলাফেরা করে থাকেন।মোহনপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে সুব্রতর নকল বিলেতি মদ রাখার কাউন্টার রয়েছে। সবমিলিয়ে সুব্রত প্রতিমাসে কম করেও দুই থেকে তিন লক্ষাধিক টাকা মুনাফা পকেটে নিচ্ছেন বললেই চলে। দক্ষিণ তারানগর গ্রামের কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন যুবক মহল তার এই কাজকর্মের বিরুদ্ধে একাধিকবার রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে সুব্রত তাদের হুমকি ধুমকি দিয়েই চলেছে অনবরত বলে জানা যায়। তাই সেখানকার বিভিন্ন লোকজন বর্তমানে এই কুখ্যাত মাদক কারবারি সুব্রতর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

2 + eleven =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য