রাজ্যজুড়ে যখন মারন ব্যাধী করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত তখন প্রত্যেকটি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বাজারহাট, দোকানপাট সহ জনবহুল এলাকা গুলিতে মাক্স পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে এমন বহু বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে মাস্ক বিহীন শিক্ষকদের দেখে মাস্ক না পড়তে অনুপ্রাণিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা। এমনই এক ঘটনার বাস্তবচিত্র উঠে এলো তেলিয়ামুড়া শহর থেকে অনতি দূরে অবস্থিত মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় থেকে। জানা যায়, বিদ্যালয়টি অল্প কিছুদিনের মধ্যে শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্ঠা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি কঠোর মনোনিবেশের কারণে রাজ্যের বুকে সুনাম কুড়িয়ে নিয়েছে এই বিদ্যালয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা এখনো মরণব্যাধি করুণা ভাইরাস নিয়ে অসচেতন। কারণ, যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার মারণব্যাধি করোনা ভাইরাসের বার বাড়ন্তের কারণে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখা গেল বিদ্যালয়ে মাস্ক বিহীন অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীরা পঠন-পাঠনের কাজে মজেছেন। মুঙ্গিয়াকামী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এ-ধরনের খামখেয়ালি পূর্ণ মনোভাবের কারণে মারণব্যাধী এই করুনার গুষ্টি সংক্রমনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত শিক্ষিত সমাজ। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ইনচার্জের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি অনেকটাই আমতা আমতা করে জানান,,, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রত্যেকেই মাস্ক ব্যাবহার করছেন। এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মাস্ক ব্যাবহার করতে আমরা উৎসাহিত করছি। কিন্তু বাস্তবটা ভিন্ন, বিদ্যালয় প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষে পাঠ দান করতে যাওয়া শিক্ষকদের অধিকাংশের মুখেই ছিলনা মাস্ক। এবং পাঠ গ্রহণ করতে আসা ছাত্রছাত্রীদের মুখেও ছিল না মাস্ক। তবে বিদ্যালয়ের ইনচার্জ মহাশয় যে অনেকটাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন তা উনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্টত ভাবে ফুটে উঠেছে।
তবে বিদ্যালয়ে যদি শিক্ষকদের কড়া দাবড়ানি থাকতো তবে হয়তোবা বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রীরাই মাস্ক পড়তে পারে বাধ্য থাকতো। কারণ মারণব্যাধি করোনা ভাইরাস খুবই ভয়ঙ্কর।



