সরকারি চাকুরী না করেও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। আর সরকারি চাকুরী হারিয়ে বর্তমানে নিজ উদ্যোগে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে তেলিয়ামুড়ার এক ১০,৩২৩-এর শিক্ষক। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন পন্থাকে অবলম্বন করে নিজের দক্ষতা খাটিয়ে তিনি নিজের সংসার প্রতি পালন করছেন। এমনই এক ঘটনার বাস্তব চিত্র পাওয়া গেল তেলিয়ামুড়ার গামাইবাড়ি এলাকা থেকে।
জানা যায় , তেলিয়ামুড়া গামাইবাড়ি এলাকার শুভঙ্কর আচার্য ওরফে অর্জুন নামের এক প্রাক্তন ১০৩২৩-এর শিক্ষক নিজের চাকরি হারিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন পন্থাকে অবলম্বন করে স্বাবলম্বী হওয়ার রসদ খুঁজছেন। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতেই বায়োফ্লক পদ্ধতির মাধ্যমে মৎস্য চাষ করে বাজারজাত করে আয় উপার্জন করে নিজের সংসার প্রতিপালন করছেন। পাশাপাশি প্রায় শতাধিক দেশি প্রজাতির মোরগ পালন সহ সুগন্ধি জাতীয় এবং জীবাণু নাশক ফ্লোর ক্লিনার তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ইতিমধ্যেই। বর্তমানে শুভঙ্কর আচার্য নামের চাকরি হারানো ১০৩২৩ এর ওই শিক্ষক এভাবেই নিজের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে। তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন,, এভাবে করে একটি সংসার প্রতিপালন করা সম্ভবপর না হলেও চাকরি হারানোর পর দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার একটি ব্যাবস্থা হয়েছে। তাছাড়া তিনি কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন,, প্রথমে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু হাল ছাড়িনি। এভাবে বসে থাকা যায় না, কিছু করে খেতে হবে এই ভাবনা নিয়ে প্রথমে নিজ বাড়িতে দুইটি চৌবাচ্চা তৈরি করে বায়োফ্লক পদ্ধতির মাধ্যমে মৎস্য চাষ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে আজ সেই চৌবাচ্চার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন থেকে চারটি। আর এখানে উৎপাদিত মাছগুলো বাজারে বাজারজাতো করেই আমার দিনাতিপাত। তিনি আরো বলেন,, সরকার বাহাদুর যদি আমার এই উদ্যোগ দেখে খুশি হয়ে থাকেন তবে হয়তোবা সরকারি সুযোগ-সুবিধা কিছু একটা করবেন। ওই অসহায় চাকরি হারানো শিক্ষক শুভঙ্কর বাবুর দাবী,, সরকার বাহাদুরের যেন কৃপাদৃষ্টি বর্ষিত হয় উনার উপর, উনি হয়তোবা উনার এই উদ্যোগ নিয়ে আগামীদিনে আরও এগিয়ে যেতে পারবে। তাছাড়া তিনি অন্যান্য ১০৩২৩ চাকরি হারানো শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন,, হতাশাগ্রস্থ হয়ে ভেঙ্গে পড়ে লাভ নেই, উঠে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজকর্মে মনোনিবেশ করা উচিত। তবে তেলিয়ামুড়ার শুভঙ্কর বাবুর রাজ্যের বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চাকরি হারানো অনেক শুভঙ্কর। তারা যদি সরকারি চাকরি আশা ছেড়ে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিজ উদ্যোগে স্বাবলম্বী হতে পারে তবে হয়তোবা ত্রিপুরা রাজ্য ভারতবর্ষের মধ্যে আরো অনেক উন্নতির শিখরে পৌঁছবে।



