আজও পানীয় জলের সমস্যা যেন বংশ-পরম্পরা অভিশাপের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে। ২৫ বছরের বাম জমানা থেকে শুরু করে এ.ডি.সি প্রশাসনের বুবাগ্ৰার সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও কোনো আমলেই তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে নি। উপজাতি গিরি বাসীদের ভাগ্যের চাকা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে বর্তমান সরকারের আমলে’ও। এমনটাই দৃশ্য পরিলক্ষিত হলো তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ রামকৃষ্ণপুর এ.ডি.সি ভিলেজে। ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হয় বুবাগ্ৰার তিপ্রামথা সরকার। কিন্তু ক্ষমতায় বসার প্রায় পনেরো মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে ব্যার্থ তারা। নির্বাচন এলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা আমলাদের ভোট ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমজনতার দোয়ারে দোয়ারে ঘুরতে দেখা গেলেও ভোট পর্ব সাঙ্গ হতেই প্রতিশ্রুতির পাখি ফুড়ুৎ। অথচ গিরিবাসীদের ভাগ্য যেই তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে যায়। শনিবার মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ রামকৃষ্ণপুর এ.ডি.সি ভিলেজ এলাকাটিতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল প্রতিটি বাড়ির সামনে বালতি,কলস,ড্রাম ইত্যাদি রাখা রয়েছে।
কারণ ওই এলাকার একমাত্র ভরসা গাড়ি যুগে প্রদান করা পানীয় জল। অথচ এলাকায় সাপ্লাইয়ের পাইপ লাইন থাকলেও সেগুলো দিয়ে সঠিক সময়ে সর্বদা জল সরবরাহ করা হয় না। ফলে এই এলাকায় বসবাসকারী গিরিবাসীদের প্রচন্ড ভাবে কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। তাছাড়া রাস্তার পাশে রাখা জলের পাত্র গুলো সবসময় ঢেকে রাখা হয় না ফলে দেখা গেল কাঠ ফাঁঠা রৌদ্রে একটি কুকুর সেই জলের পাত্র গুলো থেকে জল সেবন করে নিজের তেষ্টা নিবারণ করছে। আর এই জল গুলোই আবার পানীয় জল হিসেবে ব্যাবহার করবে গিরিবাসী অংশের মানুষজন। ফলে অজানা রোগের আশঙ্কায় আতঙ্কিত তারা। এখন এলাকাবাসীদের দাবি পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে যেন প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করে স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের প্রশাসন।



