প্রাচীন আর্য সমাজে শিক্ষক বা গুরুর স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল‚ বোঝা যায় যখন ছাত্র-শিক্ষক বা গুরু-শিষ্য পরম্পরাকে সম্মানিত করতে একটি দিন উৎসর্গ করা হয়। তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় অন্য কোনও সম্পর্ক এতটা গুরুত্ব পেয়েছে কি না সন্দেহ । গুরু বা শিক্ষককে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই পালিত হয়ে আসছে গুরু পূর্ণিমা। আজ‚ শিক্ষক দিবসের আড়ালে অনেকটাই ম্রিয়মাণ এই তিথি আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা‚ যাকে ডাকা হয় ‘গুরুপূর্ণিমা‘ নামে। সংস্কৃতে ‘গূ‘ শব্দের অর্থ হল অন্ধকার। গুরু শব্দের মানে হল যিনি অন্ধকার দূর করেন। শিক্ষক বা গুরু আমাদের মনের সব সংশয়‚ সন্দেহ‚ অন্ধকার‚ জিজ্ঞাসা দূর করেন । নতুন পথের দিশা দেখান । তমসা থেকে জ্যোতির্ময়ের পথে চালিত করেন গুরু। গুরুর প্রতি যথাযথ সন্মান জানিয়ে গুরু পূর্নিমা উপলক্ষে গুরু পূর্ণিমা উপলক্ষে বুধবার আগরতলার পরমার্থ সাধক সংঘ মন্দিরে চলছে পূজার্চনা। এদিন সংঘের মহারাজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গুরুর বর্ননা দিতে গিয়ে একজন শিষ্যের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুর গুরুত্ব তুলে ধরেন। এদিনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ভক্তজনদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।



