জনজাতি গিরিবাসিদের ভাগ্যের চাকা যেই জায়গাতে সেই জায়গায় থমকে রয়েছে। সরকারী ভাবে মৌলিক অধিকার গুলি পাওয়া থেকে বঞ্চিত। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীনস্থ আঠারোমুড়া এ.ডি.সি ভিলেজের আঠারোমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে ৪৭ মাইল মনিজয় রিয়াং পাড়া এলাকায়। মনিজয় রিয়াং পাড়াতে গিয়ে ঠিক এমন এক চিত্রই ধরা পরে আমাদের কেমেরার লেন্সে। হত দরিদ্র অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ানোর মত কেও নেই। চিকনতি রিয়াং তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অতিকষ্টের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করে চলেছে প্রতিটা দিন। এই জীবনযুদ্ধে প্রতিটা দিন জয়ী হবার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর আশায় আশায় দিন গুনছে হত দরিদ্র সেই পরিবার। নেই বয়ষ্ক ভাতা, বঞ্চিত সরকারি ঘর থেকেও। কিন্তু ভাগ্য যে তার সঙ্গী হতে চাইছেনা কিছুতেই। আজও বয়ষ্ক ভাতা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর সহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই জনজাতি পরিবার। পরিবারের ৫ (পাঁচ) জন সদস্যদের নিয়ে দূর্দশাগ্রস্থ ঘরে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তাও আবার যে কোন সময় মাথার উপর ভেঙ্গে পরার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীন আঠারোমুড়া এ.ডি.সি ভিলাজের মনিজয় রিয়াং পাড়া এলাকায়। এলাকাটিতে মোট ২৬ রিয়াং সপ্রদায় অংশের পরিবারের বসবাস । ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রত্যেকটি পরিবারে জুম চাষ কিংবা লতা পাতা কুড়িয়ে এনে বিক্রি করেই সংসারে প্রতিপালন করে। ওই এলাকায় প্রত্যেকটি রিয়াং সম্প্রদায়ের পরিবারে মত চিকনতি রিয়াং পরিবারটিও লতাপাতা কুড়িয়ে রাস্তার পাশে বিক্রির মধ্যে দিয়ে সংসারের প্রতিপালক। এদিকে পাহাড়ে ক্ষমতায় রয়েছে নিজেদের জনজাতির দরদী বলে পরিচয় দেওয়ার তিপ্রা মথা দল। কিন্তু সেই দল এডিসির ক্ষমতায় বসে আদৌ পাহাড়ি এলাকায় জনজাতিদের কতটা উন্নত করতে পেরেছে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। কিন্তু আজও বার্ধক্য সহ সরকারি ঘর থেকে বঞ্চিত বলে জানান চিকনতি রিয়াং। ফলে জঙ্গল থেকে সংগৃহিত লতা পাতা সহ সব্জি বিক্রি করে কোনো প্রকারে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে হতদরিদ্র চিকনতি রিয়াং। ভগ্ন জরাজীর্ন একটি ঘরে দিনগুজরান হচ্ছে পাঁচজনের সদস্যদের নিয়ে। বিভিন্ন সময়ে সরকারি সহযোগিতার কথা জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, পেয়েছে কেবলই আশ্বাস। এখন সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন বার্ধক্য ভাতা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার আশায়, প্রহর গুনছে ৭৫ বছরে পা দিয়েও। তিনি জানান সরকারি সাহায্য সহযোগিতার হাত বারিয়ে দিলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনও রকমে খেয়ে বেচে থাকতে পাড়েন এবং রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পাড়েন।
এখন দেখার বিষয় চিকনতি রিয়াং -এর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে কতটুকু সময় লাগে। প্রশাসনের কবে নাগাদ তার দিকে কবে দয়া দৃষ্টি পরে।।



