সিপিআইএম দলের নেতৃত্বদের কাছে আন্দোলন করার মত কোন ইস্যু নেই। এই অবস্থায় শাসকদলের কিছু সংখ্যক লোকেদের জড়িয়ে কুৎসা রটাচ্ছে সিপিআইএম দলের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে। এ নিয়ে এলাকায় শোরগোল বাঁধার উপক্রম। খুব বিক্ষোভ, যেকোনো সময় ঘটতে পারে অঘটন। অভিযোগ মূলে জানা যায়, গত ৯ই জুলাই চাকমাঘটের এলাকাবাসীরা চাকমাঘাট পঞ্চায়েত, গোকুলনগর পঞ্চায়েত, পূর্ব লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়তা নিয়ে চারজন কুখ্যাত ড্রাগস বিক্রেতাকে আটক করেছিল। ওই সময় এলাকাবাসীরা সহমতের ভিত্তিতে বিক্রেতাকে সালিশি সভা অনুষ্ঠিত করে পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এবার ‘সিপিআইএম ত্রিপুরা’ নামক ফেসবুক পেইজে সুনীল দাস নামের এলাকার এক ব্যক্তিকে উপপ্রধান এবং অজিত দেবনাথ নামের এক ব্যক্তিকে পঞ্চায়েত সদস্য বানিয়ে লাল মার্কিং করে নেশা বিক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এরকম ভুল তথ্য দিয়ে কুৎসা রটায়। এতে ওই দুই ব্যক্তি তাদের মান সম্মানের হানি ঘটে বলে জানায়। এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করে গোটা চাকমাঘাট এলাকা সহ সিপিআইএম দলের মধ্যে কানাঘুষা চলছে। কারণ, সিপিআইএমের ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা ভিডিওর গোটা তথ্যটাই ছিল ভুল। তাই ফেসবুক নির্ভরশীল সিপিআইএম দল তাদের পায়ের তলার মাটি খুজে না পেয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য তোর জোর চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে গোটা চাকমাঘাট সহ তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় খুব বিক্ষোভ। যে কোন সময় এই ক্ষোভ বিক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। আদতে সিপিআইএম দলের একাংশ নেতা নেতৃত্বরা ড্রাগস পাচারকারীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে কিনা এটাও সন্দেহের তালিকায় থেকে গেল। পরে এইসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শাসক দল সমর্থিত চাকমাঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মিনতি দেবনাথ এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনিল দাস সহ পঞ্চায়েত এলাকার সচেতন নাগরিকরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিপিআইএম দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তেলিয়ামুড়া থানার কর্তব্যরত পুলিশ বাবুর বিরুদ্ধেও একরাশ খুব উগরে দেয় এলাকার এক প্রবীণ নাগরিক।।



