রাজ্যের ১৯টি জনজাতি গুষ্টির মধ্যে রিয়াং জাতিগুষ্টির লোকজনেরা বর্তমানেও অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বলে বিবেচিত। তারা শিক্ষার আলো থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। তাদের পূর্বপুরুষ থেকে সংস্কার, সংস্কৃতি অর্থাৎ জীবনশৈলী এখনো পূর্বের মতই।তাদের কাছে বিজ্ঞান যুগের আধুনিকতা বর্তমানেও অধরা । তারা তাদের ঐতিহ্যের পোশাক ও পয়সার গহনাতে মজে আছে । শহরবাসীদের মত স্বর্ণালঙ্কারের গহনার পেছনে দৌড়ঝাঁপ করতে তারা নারাজ । তাদের নেই কোন রকমের বিলাসিতার মনোভাব । রিয়াং জনজাতির লোকজনেরা যদিও তাদের ঐতিহ্যের গহনা-কে তাদের ভাষায় “রাংবাক” বলে থাকে । ওই সব গহনা গুলিকে “রাংবাক “, ভাঁড়, চন্দ্র, সহ রুপোর তৈরি গহনা তারা পরিধান করতে অভ্যস্ত। এটা মূলত রিয়াং সমাজ ব্যবস্থার পুরোনো রীতি বর্তমান বিজ্ঞান যুগেও বহাল তবিয়তে। অধিকাংশ রিয়াং জনজাতির লোকজনেরা প্রত্যন্ত এলাকাতে বসবাস করে জুম-চাষ বা স্থানান্তর চাষ করার জন্য । তাদের জীবন-জীবিকার প্রধান মাধ্যমটি-ই হলো জুম চাষ । উল্লেখ্য, তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন আঠারমুড়া পাহাড়ের কোলে অবস্থিত, নোঁনাছড়া, কাঁকড়াছড়া, হাজরাপাড়া, ছনপাড়া, বাহাদুর-সর্দার-পাড়া, তীর্থ-মনি-রিয়াং পাড়া, এইসব এলাকাগুলিতে রিয়াং জন-জাতি অংশের মানুষজনদের বসবাস । পূর্বে এইসব এলাকাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থাও তেমন খুব একটা ভালো ছিল না । বর্তমানে নিয়মিত রেশন সামগ্রী সংগ্রহ থেকে শুরু করে বাজারমুখী হতেও কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না তাঁদের। তাদের জীবন শৈলের প্রণালী গুলি পরিত্যাগ করতে নারাজ। রিয়াং সমাজ ব্যবস্থার রীতি অনুসারে রুপোর তৈরির টাকার গহনা পড়তেই হবে। শহরের মত রকমারীর বস্ত্র ও পছন্দ করে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা জুম চাষ নিয়ে টিলাভূমিতে তারা ব্যস্ত থাকে।



