আষাঢ়ের প্রখর কাঠফাটা দাবদাহ গরমে নাজেহাল জনজীবন। সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মুমূর্ষ রোগী থেকে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে হাঁসফাঁস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে শনিবার দুপুর নাগাদ। জানা যায়, শনিবার দুপুর নাগাদ তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়। সেই সময় থেকে প্রায় দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা যাবত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ছিন্ন থাকার ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মুমূর্ষ রোগী সহ রোগীর আত্মীয় পরিজন এবং জরুরী কালীন পরিষেবা নিতে আসা রোগীদের। এদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য হাসপাতালের একটি হাই ক্যাপাসিটি বিশিষ্ট জেনারেটর রয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর হাই ক্যাপাসিটি বিশিষ্ট জেনেটার চালানোর কোন অপারেটর না থাকার কারণে বিদ্যুৎহীন মহকুমা হাসপাতাল। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল থাকায় রোগী সহ রোগীর আত্মীয় পরিজন দাবদাহ গরমে নাভিশ্বাস। আর তাতে করে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে রোগী থেকে রোগী আত্মীয় পরিজনদের। এদিকে প্রচন্ড দাবদাহ গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই দাবেদহ গরমের ফলে বাজার হাটে লোক সমাগম তেমন হতে দেখা যায়নি। তার মধ্যে হাসপাতালের মতন একটি জরুরি পরিষেবা কেন্দ্রে শনিবার দুপুর বারোটায় আচমকা গোটা হাসপাতালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।হাসপাতালে বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য একটি জেনারেটর মেশিন রয়েছে। কিন্তু জেনারেটর মেশিন চালানোর জন্য কোন অপারেটর নেই। তার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হলে হাসপাতালে থাকা বিকল্প বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জেনারেটর চালানোর জন্য অপারেটর না থাকায় হাসপাতালে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর যার কারনেই প্রতিনিয়তই দূর-দূরান্ত থেকে আগত হাসপাতালে জরুরী পরিষেবা থেকে শুরু করে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পোহাতে হচ্ছে। শনিবার দুপুর নাগাদ হঠাৎ করে গোটা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু অপারেটর -এর অভাবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের জেনারেটর সময় মত চালনা করতে না পারায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মুমূর্ষ রোগীর থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। এক সময় হাসপাতলে ভর্তি থাকা রোগীরা প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করছে। পরে যদিও দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার পর বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে নিস্তার পায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা মুমূর্ষ্য রোগীরা। এদিকে তেলিয়ামুড়া মহকুমার স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিষেবা গুলির মুখ থুবরে পড়েছে। প্রতিনিয়তই বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে রোগীর থেকে শুরু করে আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। তারপরেও তেলিয়ামুড়া মহকুমার স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মার কোন এক অজ্ঞাত কারণে অপারেটর নিয়োগের বিষয়টি কর্ণপাত করছে না।
তবে এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে জরুরী কালীন পরিষেবা সহ জেনারেটর অপারেটর নিয়োগে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক চন্দন দেববর্মা।



