রাজ্যের কৃষকদের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । এজন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাগুলি প্রান্তিক এলাকার কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । অমরপুরে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে একথা বলেন কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় । অনুষ্ঠানে তিনি বলেন , রাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ৪৫ হাজার কৃষক পিএম – কিষাণ প্রকল্পের আওতায় এসেছেন । আগে রাজ্যের কৃষকদের অর্থের জন্য মহাজনদের কাছে যেতে হতো । এখন কৃষকদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা পৌঁছে যাচ্ছে । কৃষিমন্ত্রী বলেন , অমরপুর মহকুমায় কৃষকদের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫৮২ মেট্রিকটন ধান সহায়কমূল্যে ক্রয় করা হয়েছে । কৃষির বিকাশে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে । এজন্য কৃষকদের ভর্তুর্কিতে দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব বলেন , কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ রাজ্যের অন্তিম ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার । পিএম – কিষাণ , প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা , জল জীবন মিশনের মতো প্রকল্পের সুযোগ রাজ্যের সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । তিনি বলেন , রাজ্য সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য গরীব অংশের মানুষের কল্যাণ । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন , রাজ্যের জনজাতিদের কল্যাণেও রাজ্য সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে । এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় জনজাতিদের সার্বিক বিকাশে ১৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে । রাজ্যের দীর্ঘদিনের ব্লু শরণার্থী সমস্যার সমাধান করা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তরিক প্রয়াসে । ৫ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন , অমরপুর মহকুমাতেই ৭ হাজার ১৭৬ জন কৃষক পিএম কিষাণ প্রকল্পের আওতায় এসেছেন । তারা বছরে ৬ হাজার টাকা করে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাচ্ছেন । আগে কৃষকরা প্রতি কেজি ধান ১০-১২ টাকায় বিক্রি করতো । রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে এখন ১৯.৪০ টাকায় প্রতি কেজি ধান ক্রয় করছে । এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন । তিনি বলেন , কোভিড অতিমারী পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতায় । সারা দেশের গরীব অংশের মানুষকে এই সময়ে বিনামূল্যে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে । রাজ্যের প্রায় ২৫ লক্ষ লোক এই কর্মসূচিতে উপকৃত হয়েছেন । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক রঞ্জিৎ দাস । স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী জেলার জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার । জেলাশাসক তার বক্তব্যে জল জীবন মিশন , পিএম কিষাণ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জেলাভিত্তিক চিত্র তুলে ধরেন । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অমরপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মন্টি দেবনাথ , অমরপুর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন বিকাশ সাহা , গোমতী জিলা পরিষদের সদস্য ফণীভূষণ চক্রবর্তী , কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা নভোজিত চাকমা প্রমুখ । মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অমরপুর ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সুমন্ত রিয়াং ।



