সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সকল অংশের জনগণের উন্নতির মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছেন । আর সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার মাধ্যমে উন্নয়নের দিশায় ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন । আগরতলার জগন্নাথ বাড়ি রোডস্থিত বি আর আম্বেদকর ছাত্রাবাস পরিসরে ১০০ আসন বিশিষ্ট তপশিলি ছাত্রীনিবাসের দ্বারোদঘাটন করে কথাগুলি বলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক । কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি ভৌমিক বলেন , সমাজে তপশিলি অংশের পিছিয়ে পড়া মানুষদের যেন সমাজের মূল ধারাতে আনা যায় তার লক্ষ্য কাজ করছে সরকার । তিনি বলেন , প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার সড়ক , বিমান , রেল যোগাযোগ , গ্রামীণ রাস্তা তৈরী , পানীয়জল , শৌচালয় , প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর নির্মাণ , প্রধানমন্ত্রী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পে নানা উন্নয়নমূলক কাজ মিশন মুডে এগিয়ে চলছে । কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি ভৌমিক বলেন , রাজ্যের তপশিলি জাতি অধ্যুষিত ৩০ টি গ্রামকে প্রধানমন্ত্রী আদর্শ গ্রাম তৈরী করার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে । এতে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য নানা সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিটিতে অতিরিক্ত ২০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে । স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয়স্তরে তপশিলি জাতি ও জনজাতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাবু জগজীবন রাম স্কীমে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রয়োজন ভিত্তিক ছেলে – মেয়েদের জন্য ৫০:৫০ হারে ৫০ আসন ও ১০০ আসন বিশিষ্ট ছাত্রাবাস তৈরী করা হবে এবং ছাত্রাবাস সংস্কার করা হবে । তিনি বলেন , তপশিলি অংশের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্য সরকার আন্তরিক । তপশিলি জাতি , ওবিসি , দিব্যাঙ্গজনদের সাফাই ওয়েলফেয়ার স্কলারশিপের সময়সীমা ১ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে । সেই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের স্বরোজগারী হতে দক্ষতা বিকাশে কাজ করছে সরকার । তিনি আরও বলেন , ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছর পর্যন্ত ৫ বছরে ভারত সরকার তপশিলি জাতি ছাত্রছাত্রীদের পোস্ট মেট্রিক এবং প্রি মেট্রিক স্টাইপেন্ড দেওয়ার জন্য ৩৫,৫০০ কোটি টাকা বাজেটে রেখেছে । কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন , সমগ্র মানবজাতি সহ গোটা ভারতবর্ষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে গেছেন ড . বি আর আম্বেদকর । তিনি দেশের শিক্ষার জন্য যে আন্দোলন শুরু করেন তার ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে । সমাজের পিছিয়ে পড়া তপশিলি অংশের ছাত্রছাত্রীরা যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আরও বেশী সাফল্য পেতে পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দেশের ৩৫ টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একত্রিত করে ট্রেনিং সেন্টার গঠন করা হয়েছে । ২ য় পাতায় ( ২ ) ভারত সরকার ওভারসিজ স্টাইপেন্ড প্রদানের কোটা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ করেছে । তপশিলি অংশের ছাত্রছাত্রীদের জন্য টপ স্কুল টু টপ কলেজ বৃত্তি চালু করেছে । তিনি আরও বলেন , প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে করোনাকালে স্ট্রিট ভেন্ডারদের স্বল্প সুদে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয় । বর্তমানে তা ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে । চা , পকোড়া , ফুচকা জাতীয় খাদ্য বিক্রেতাদের জন্য সরকার স্ট্রিট ভেন্ডার জোন তৈরী করছে এবং স্ট্রিট ভেন্ডারদের পরিচয় পত্র প্রদান করছে । মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার । তিনি এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন । অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব অভিষেক চন্দ্রা । তিনি বলেন , ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস তৈরীতে ব্যয় হয়েছে ৩.৭৬ কোটি টাকা । এছাড়া আগামী দিনে এখানে ছাত্রীদের জন্য স্মার্ট ক্লাস , কম্পিউটার ল্যাব , গ্রন্থাগার এবং ইন্ডোর ক্রীড়ার ব্যবস্থা করা হবে । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক ডা . দিলীপ দাস । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ।



