সম্প্রতি গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। চাহিদা অনুযায়ী দেশে গমের জোগান ঠিক রাখার জন্য এই নির্দেশ দিয়েছে ভারত। মূলত দেশে গমের দামে লাগাম রাখার জন্যই এই নির্দেশ। কিন্তু গম রফতানিতে ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার পরেই আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে গমের দাম।
ইউরোপের বাজারে সোমবার প্রতি টন গমের দাম পৌঁছেছে ৪৩৫ ইউরোতে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে গমের দাম। এবার ভারতও রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আরও চাপ বেড়েছে। 1
কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত:
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে, অবিলম্বে গমের রফতানি বন্ধ করা হচ্ছে, যাতে দেশীয় বাজারে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানা যায়। গতকালের বিজ্ঞপ্তির আগে যে সমস্ত লেটারস অফ ক্রেডিট ইস্যু করা হয়েছে, শুধুমাত্র তার ভিত্তিতে রফতানি অনুমোদন করা হবে। এর পাশাপাশি, পড়শি দেশে যদি আপদকালীন পরিস্থিতি দেখা দেয়, সেখানেও গম রফতানিতে সায় দেবে কেন্দ্র। বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের তরফে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয় যে, মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে, প্রতিবেশি তথা সঙ্কটাপন্ন দেশগুলির কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ক্ষুব্ধ G7:
ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম ক্ষোভ জানিয়েছে ইউরোপের দেশগুলি। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে G7 অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি। ভারতের এই সিদ্ধান্তে আন্তজার্তিক বাজারে সমস্যা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পাশে চিন?
যদিও গম রফতানি ইস্যুতে ভারতের পক্ষেই সওয়াল করা হয়েছে চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের সমালোচনা করে বিশ্বের খাদ্য পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হবে না। ভারতকে দোষ দিয়েও কোনও লাভ নেই। বিশ্বের খাদ্য সঙ্কটের পরিস্থিতি এড়াতে এগিয়ে আসা উচিত বিশ্বের উন্নত দেশগুলিরই। চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্য়মে এমনটাই লেখা হয়েছে।



