অটো সাইটগুলির মতে, পুরোনা পেটেন্টের মধ্যে কিছু পরিবর্তন এনেছে এই কুপারচিনো টেক জায়ান্ট। একেবারে আইফোনের মতো সিরির আদেশ মেনেই চলবে এই গাড়ি।
নতুন এই প্রজেক্টের নাম কী ?
শোনা যাচ্ছে, অ্যাপলের এই চালকবিহীন ইলেকট্রিক গাড়ির নাম টাইটান হতে পারে। হাইপড অটোমেটিক প্রকল্পগুলির মধ্যে থাকলেও এতে কিছু বদল আনতে চলেছে কোম্পানি। তবে আভাস দিলেও এই গাড়ির প্রযুক্তি সম্পর্কে কোনও খোলসা করেনি টিম কুক। একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, অ্যাপল তার পুরোনো আসল পেটেন্ট ফাইলিংগুলির মধ্যে একটি পরিবর্তন করেছে।সেখানে পুরোপুরি সিরি নির্ভর গাড়ি গড়তে চলেছে আমেরিকার এই কোম্পানি।
কী পেটেন্ট নিয়ে কাজ করছে অ্যাপল ?
অ্যাপলের এই পরিবর্তিত পেটেন্টটির নাম দেওয়া হয়েছে “গাইডেন্স অফ অটোনোমাস ভেহিকেলস ইন ডেস্টিনেশন ভিসিনাইটিস ইউজিং ইনটেন্ট সিগন্যাল”। শোনা যাচ্ছে, এটি একটি স্মার্টফোনের টাচস্ক্রিন ও ভয়েস রিকগনিশন সিস্টেম ব্যবহার করে গাড়ি পরিচালনা করবে। সেই ক্ষেত্রে গাড়ি পার্কিং বা কোনও অবস্থানে আনার মতো বিভিন্ন কাজ করবে এই নতুন প্রযুক্তি।
Apple Car: সিরির কথাতেই সব কাজ !
নতুন পেটেন্ট অনুযায়ী, গাড়ির ন্যাভিগেশন সিস্টেমগুলি ড্রাইভারকে গন্তব্যের কাছে নিয়ে আসতে সুনির্দিষ্ট কাজ করবে। ধরুন গাড়ার চালক বা মালিক যেখানে গাড়ি পার্ক করতে চান, সেখানে নিপুণভাবে থমকে যাবে গাড়ি। সেই ক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছনোর পর গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না চালককে। সিরিকে কমান্ড দিয়ে গেলেই সে করে দেবে সব কাজ।
টেক ব্লগারদের মতে, এই প্রযুক্তি অ্যাপল কারের চালকবিহীন গাড়ির ক্ষমতাকে আরও দক্ষ করে তুলবে। অ্যাপলের ভয়েস-চালিত কমান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট সিরি পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে। অ্যাপলের পেটেন্ট বলছে, সিরির মাধ্যমে ভয়েস কমান্ড পাবে গাড়ি। একবার সেই অর্ডারটি পেলে গাড়ির সিস্টেমগুলি অনবোর্ড ক্যামেরা ও সেন্সরগুলিকে সনাক্ত করে রাস্তায় চলা শুরু করে দেবে। এই প্রযুক্তিতে পিছনে চালকের আসনে বসেও অনায়াসে গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন আপনি।
নতুন পেটেন্টে কবে আপডেট ?
রিপোর্ট বলছে, অ্যাপলের চালকবিহীন এই পেটেন্টটি 2019 সালে দায়ের করা হয়েছিল। তবে এটি সম্প্রতি আপডেট করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, অ্যাপল তার আসল পেটেন্ট ফাইলিং সম্পূর্ণ বাতিল করেছে ও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এই পেটেন্ট ফাইলিংয়ে। যদিও অ্যাপল কার লঞ্চের তারিখ টেক জায়ান্ট দ্বারা প্রকাশ এখনও প্রকাশ করেনি কোম্পানি। তবে মনে করা হচ্ছে, 2025 সালের মধ্যে বাজারে আসতে পারে এই চালকবিহীন গাড়ি।



