Saturday, October 19, 2024
বাড়িখবররাজ্যশীতকালীন সব্জি চাষে হাসি ফুটেছে মলয়ার মাঠের কৃষকদের মুখে ৷৷

শীতকালীন সব্জি চাষে হাসি ফুটেছে মলয়ার মাঠের কৃষকদের মুখে ৷৷

কমলপুর শহর থেকে উত্তর দিকে পিচ ঢালা রাস্তা ধরে প্রায় ৪ কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে বিস্তীর্ণ চাষের জমি । যাকে বলা হয় কমলপুর মহকুমার শস্যভান্ডার । ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এই জায়গাটির নাম মলয়ার গ্রাম । ধান ও সব্জি চাষের জন্য বিখ্যাত এই গ্রাম স্থানীয়ভাবে মলয়ার মাঠ নামেও পরিচিত । অনেক বছর ধরে ধান চাষই এই গ্রামের মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল । পরবর্তী সময়ে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের কৃষি আধিকারিকগণের মনে হয়েছে শুধু ধান চাষই নয় , নির্বাচিত কিছু জমিতে সব্জি চাষ করলে আরও বেশি লাভবান হবেন কৃষকগণ । কোথায় কি সব্জি চাষ করতে হবে তা কৃষকদের চিহ্নিত করে দেন কৃষি আধিকারিকগণই । কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর থেকে তাদের বিনামূল্যে সব্জি বীজও সরবরাহ করা হয় । সরকারি সহায়তায় এবং নিজেদের পরিশ্রমে শীতকালীন সব্জি চাষে এবার হাসি ফুটেছে মলয়ার কৃষকদের মুখে । বাজারের চাহিদা বিবেচনায় রেখে মলয়ার কৃষকরা এবার শীতের সময়ে লাল শাক , লাউ , বেগুন , সিম , মূলা , ফুলকপি , বাধাকপি , টমেটো ও শসা সহ বিভিন্ন সব্জি চাষ করেছেন । কৃষকদের থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় , এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসলও খুব ভালো হয়েছে । মহকুমার কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর সূত্রে জানা যায় , এই মরশুমে মলয়ার ২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষ করেছেন কৃষকরা । এই গ্রামেরই একজন কৃষক শাহ আলম । তিনি জানালেন , আমি প্রতি বছর শীতকালীন শসা , টমেটো , সব্জি চাষ করি এবং বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারি । এবছর ৮ একর জমিতে শসা ও টমেটোর ক্ষেত করেছিলাম । ফলন ভালো হয়েছে এবং লাভও হয়েছে আশানুরূপ । কৃষক আলাউর মিঞা তার জমিতে এবার লাউ চাষ করেছেন । ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা । তিনি জানালেন , লাউ ডোগা বিক্রি করেই প্রায় ২০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে এবছর । লাউ , সিম ও বেগুন চাষ করেছেন হেলাল মিঞা , আলি হোসেনরা । কমলপুর বাজারে তাদের লাউ , সিম ও বেগুন বিক্রি করে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি লাভ করতে পেরেছেন তারা । শীতকালীন সব্জি চাষের জন্য উন্নত ধরনের বীজ , সার , কীটনাশক সময় মতো পাওয়ায় কৃষকগণ এবার গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি ফসল উৎপাদন করতে পেরেছেন । জলসেচের ব্যবস্থাও ছিলো আশানুরূপ । সেচের জন্য ১০ টি পাম্প এবার ব্যবহার করা হয়েছিল । কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের এই ভূমিকায় কৃষকগণ খুশি ৷ দীর্ঘ সময় ধরে মলয়ার কৃষকরা ধান চাষে অভ্যস্ত হলেও শীতকালীন সব্জি চাষে তারা নতুন সম্ভাবনার পথ খুঁজে পেয়েছেন । তাদের আশা আগামী বছর শীতকালীন সব্জি চাষে আরও লাভবান হতে পারবেন তারা ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

two × five =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য