বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৬ই ডিসেম্বর….. প্রচলিত প্রবাদ বাক্য রয়েছে যে শিক্ষার কোন শেষ নেই। এই শিক্ষার জন্য প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীরা ছোট ক্লাস থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন কলেজ ও ভার্সিটিতে গিয়ে জ্ঞান লাভের জন্য সাধনা করে থাকে। আর এই ছাত্র ছাত্রীদের সাধারনাকে পরিপূর্ণতা দান করে সমাজের একজন প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক, শিক্ষিকা, এবং কলেজের একজন অধ্যাপক। আর আমরা ছাত্রছাত্রীরা এই শিক্ষকদেরকে গুরু ভেবে পূজা করি। কারণ একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে যে শিক্ষকরা হল সমাজের মেরুদন্ড। তাদের দেখানো পথ ধরেই তাদের সুযোগ্য শিষ্যরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আগামী দিন শিক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ছাত্রদের শিক্ষিত করবেন ওটাই আমরা ভাবি বা জানি। কিন্তু একজন কলেজের অধ্যক্ষ হয়ে যদি অনুষ্ঠানের চিঠি বা আমন্ত্রণ পত্রে কোন ধরনের ত্রুটি আছে কিনা সেই বিষয়টা যাচাই না করে সেই আমন্ত্রণ পত্র বা চিঠিতে স্বাক্ষর করে প্রচার করেন তাহলে সেই শিক্ষকের শিক্ষকতার মান এবং উনার দৃষ্টিভঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আর তেমনটাই প্রশ্ন উঠলো খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ খোকন মজুমদারের দিকে। বিষয়টা অনেকের কাছে তুচ্ছ হলেও স্থান কাল পাত্র বিশেষে সেই ভুলটা তুচ্ছ হতে পারে না তাও একজন অধ্যক্ষের দাঁড়া। এই ভুলটা যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী করত তাহলে মেনে নেওয়া যেত যে তারা শিক্ষার্থী। কিন্তু একজন অধ্যক্ষ্য জ্ঞান, বিচার, বুদ্ধি ,শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখেই উনাকে কলেজের অধ্যক্ষ বানানো হয়। অথচ না দেখে না বুঝে কলেজেরই ১১মাস আগে গত হওয়া অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পত্রে চলতি ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ হবে স্বাক্ষর করে সে নিমন্ত্রণ পত্রের চিঠি সংবাদ মাধ্যমকে জানানোর জন্য খোয়াই প্রেসক্লাবের হাতে তুলে দেন। ঘটনাটি হল আগামী ২১শে জানুয়ারী ২০২৬ তারিখে ত্রিপুরা রাজ্যে পালিত হচ্ছে ৫৪ তম পূর্ণ রাজ্য দিবস। ১৯৭২ সালের ২১শে জানুয়ারি ত্রিপুরা রাজ্যটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। যা ছিল ত্রিপুরার রাজ্যের কৃষ্টি ,সংস্কৃতি,জাতি ধর্ম সমস্ত বিষয়ের জন্য এক গর্বের দিন। এরপর থেকে প্রতিবছর একুশে জানুয়ারি পূর্ণ রাজ্য দিবস পালন করে আসছে রাজ্য। তেমনিভাবে তাকে মর্যাদা দিতে বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ্য খোকন মজুমদারের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি বা আমন্ত্রণপত্র বিভিন্ন জায়গায় পাঠানোর পাশাপাশি খোয়াই প্রেসক্লাব কেও দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে দেখা গেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ একুশে জানুয়ারি পূর্ণ রাজ্য দিবস অনুষ্ঠান করতে চলেছে। অথচ সেই চিঠিতে ছাপা হয়েছে ২১শ জানুয়ারি ২০২৫! ইং। আবার এই চিঠিতে হলফ করে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে স্বাক্ষর করেছেন খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ খোকন মজুমদার। তাহলে কি তিনি এই বছর ১১ মাস পিছিয়ে এই অনুষ্ঠানটি করতে চাইছেন! এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে কয় যশোর দিয়ে মেমোরিয়াল কলেজের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কিভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে।তাইতো শুধু সংবাদমাধ্যমকে নয় সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি অন্যান্য জায়গায় খোয়াই দশরথ দেব মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের কারণে পূর্ণ রাজ্য দিবস অনুষ্ঠান পালনের মর্যাদাকে একপ্রকার অপমানিত করা হয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। বিষয়টা হওয়ার ছিল ২১শে জানুয়ারি ২০২৬। কিন্তু খোয়াই দশের দেব মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ চিঠির তারিখ স্থান কাল পাত্র কিছুই না দেখে অন্ধের মতন স্বাক্ষর করে দিয়ে সেই ভুল চিঠি আবার বিলি ও করে দিলেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে খোয়াই কলেজের শিক্ষাগত মান কতটুকু যে একজন কলেজের অধ্যক্ষ কোন জিনিস না দেখে না বুঝে স্বাক্ষর করতে পারেন সেই জায়গায় তাদের কাছ থেকে ছাত্রছাত্রীরা কি সঠিক জিনিস শিখবেন বা জানবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একটি অনুষ্ঠানের চিঠির মর্যাদা যখন একজন অধ্যক্ষ সঠিকভাবে দিতে পারেন না সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কলেজের গোপনীয়তা ও সরকারি ফান্ডের টাকার নয় ছয়ের বিষয়টাকেও ফেলে দেওয়া যায় না বলে বুদ্ধিজীবি মহলের অভিমত।



