এডিসি নির্বাচন এখনও ঘোষণা হয়নি।এর আগেই পাহাড়ে ক্ষমতা দখলের লড়াই শুরু এডিসির সদর দফতর খুমুলুঙ দিয়ে। রাজনৈতিক ভাবে উন্নয়নের কাজ দেখিয়ে এই ক্ষমতা দখলের লড়াই নয়।শরিক দল নিজেদের মধ্যে হিংহ আক্রমনে নেমে পড়েছে। হিংস্রতার মাধ্যমেই দখল করতে চাইছে ক্ষমতা। খুমুলুঙে শরিক দলের সংঘর্ষে গুরুতর আহত তিপ্রা মথার তিন কর্মী। তাদের খুমুলুতের খেরেংবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এই ঘটনায় পাল্টা বিজেপি পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দিলো তিপ্রা মথার সমর্থকরা।পার্টি অফিসের ভেতর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।পুলিশ এসব ঘটনায় দর্শক হয়ে থাকলো দুই মাস আগেও খুমুলুঙের বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছিলো।তখনও অভিযোগ উঠেছিলো,তিগ্রা মথার দিকেই।এখনও একই অভিযোগ।তবে এই দফায় পাল্টা মার খেলো তিপ্রা মথার কর্মীরাও। স্থানীয়রা জানান,খুমুলুঙে পার্ক সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে তিন তিপ্রা মথার সমর্থক হেঁটে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় বিজেপির সমর্থকদের সঙ্গে তিপ্রা মথার কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। তখন বিজেপি কর্মীদের সংখ্যা বেশি ছিলো। ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়।গুরতর অবস্থায় তিনজনকে দ্রুত খেরেংবার হাসপাতালে নিয়ে যান আশপাশের লোকজন। এই ঘটনার পরই তিপ্র মথার সমর্থকরা গণহারে আক্রমণ করে বিজেপি পার্টি অফিসে। পার্টি
অফিসটি কিছুদিন আগেই সাজানো হয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার ছবিও লাগানো হয়।সবকিছু পুড়িয়ে দেওয়া হয়।গণহারে আক্রমণের সময় পালিয়ে যায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা।খবর পেতে রাধাপুর থানা থেকে পুলিশ ছুটে এলেও তারা পার্টি অফিস রক্ষা করতে পারেনি। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পতে খুমুলুঙে।রাজ্য বিজেপি জোট সরকারের প্রধান শরিক তিপ্রা মথা। দুই দলের মন্ত্রীরা মিলেই সরকার চালাচ্ছেন। অথচ শরিক দলের থেকে প্রতিনিয়ত মার খেয়ে চলেছেন বিজেপির দেবতুলা কার্যকর্তারা। এরপরও দলের কেন্দ্রীয়স্তরের নেতারা এসব ঘটনার পর কড়া ভাষায় জবার পর্যন্ত দেননি তিপ্রা মথার নেতা-কর্মীদের দিকে। আগরতলায় দুই দলের নেতা-মন্ত্রীরা একই সঙ্গে বসে হাসিখুশি কথাবার্তা বলেন। অথচ পাহাড়ে মার খেতে যাচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। কিছুদিন আগে বিজেপির
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভূমিক আমরা চাই এই অভিযোগটিই করেছিলেন। শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন। শান্তির বাজারে দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন।এটা খুমলুঙে আবার প্রত্যক্ষ করলেন দলীয় কার্যকর্তারা। এদিকে হাসপাতলে আহত মথা দলের কর্মীদের দেখতে রাতে ছুটে যান টাকারজলা বিধানসভার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কলয়, এমডিসি গণেশ দেববর্মা, ছাত্র যুব নেতা সুরজ দেববর্মা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যীর ছবি, সহ ডাক্তার বি আর আম্বেদকরের ছবি এমনকি এই আক্রমণে রক্ষা পায়নি মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্য বাহাদুরের ছবিও।



