তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ–
তেলিয়ামুড়ার চাকমাঘাট এলাকায় লরি চালক মিহির লাল দেবনাথের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে এলেন তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রেভিনিউ সচিব ব্রিজেশ পান্ডে, আই.জি আইন শৃঙ্খলা মনচাক ইপ্পা, এবং ফায়ার সার্ভিস ও দুর্যোগ মোকাবেলা সচিব এল.টি ডার্লিং।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলা শাসক রজত পন্থ , তেলিয়ামুড়ার নব নিযুক্ত মহকুমা শাসক আবেধানন্দ বৈদ্য। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিশেষ করে ঘটনার পর যারা প্রথম ঘটনাস্থলে এসেছিলেন তাদের থেকেও ঘটনার আগাগোড়া খবর নেন।
পরে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত টি.এস.আর, পুলিশ, মেডিকেল স্টাফ,ফায়ার সার্ভিস প্রত্যেক কে আলাদা আলাদা ভাবে ডেকে নিয়ে কথা বলেছেন তদন্ত কমিটি।
তবে যাদের সাথে কথা বলেছে তাদের বক্তব্য অনুসারে মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে কোন বক্তব্য ছিল না। কারণ মহকুমা শাসক’কে কেউ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন’নি। সাড়ে আট টার পর তেলিয়ামুড়ার ও.সি ফোন করে খবর জানান। এরপরেই মহকুমা শাসক সব ডি.সি.এম’দের খবর পাঠান।এর পরেই ঘটনা স্থলে যান সুরজিৎ দেববর্মা এবং হরিপদ সরকার। যদিও এর আগেই ঘটনা স্থলে যান ফায়ার সার্ভিস এবং টি.এস.আর-এর দুর্যোগ মোকাবেলা টিম। ফায়ার সার্ভিস গেলেও ফায়ার সার্ভিসের ওসি বিনয় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে যান সকাল সাড়ে আট’টা নাগাদ।
জানা গেছে, ওইদিন তিনি স্টেশনে ছিলেন না স্টেশন লিভ না দিয়েই তিনি উদয়পুর চলে যান। খবর পেয়ে তিনি বাইক নিয়ে উদয়পুর থেকে আসেন। কর্তব্যে গাফিলতি ছিল ও.সি বিনয় চক্রবর্তীর এমনটাই জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। শুধু তাই নয় টি.এস.আর এবং আপাদমিত্র ভলান্টিয়ার্স দের কাজেও বাঁধা সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। একজন মহিলা তদন্তকারী অফিসারদের সামনে এমনটা জানান। তবে ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। সকলে আপ্রাণ চেষ্টা করলেও লরি চালক মিহিরলাল দেবনাথের প্রাণ বাঁচাতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে বিষয় গুলি উঠে এসেছে তা হলো ঘটনা গভীর রাতে সংঘটিত হওয়ায় এবং উদ্ধারকারী টিম গুলির কাছে সেই পরিমাণ ইকপমেন্টস না থাকায় বাইরে থেকে সাথে সাথে আনা সম্ভব হয়নি। এই কারনে উদ্ধার করতে সময় লেগে যায়। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ কোমরের নিচে চাপা পড়ে থাকায় তার দেহের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উদ্ধার কারী দল যখন অনেক কষ্টে গাড়ির সামনের অংশ সামান্য গ্যাপ তৈরি করতেই রক্ত উপরের দিকে উঠে যায়, ফলে তার নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়। চিকিৎসকের ভাষায় অতি রক্তচাপে তার মৃত্যু হয়।
শেষ পর্যন্ত সকলের বক্তব্য তুলে নিলেন তদন্তকারী দল। তবে এখানে শেষ নয় আরো তদন্তের বাকি রয়েছে বলে জানালেন তবে এই মুহূর্তে কোন কিছু জানাতে রাজি হননি তদন্তকারী টিম।