Wednesday, October 15, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদগত তিন মাস ধরে খোয়াই আশারামবাড়ির গ্রামীণ ব্যাংকের ইন্টারনেট পরিষেবা মুখ থুবরে...

গত তিন মাস ধরে খোয়াই আশারামবাড়ির গ্রামীণ ব্যাংকের ইন্টারনেট পরিষেবা মুখ থুবরে পড়েছে। গ্রাহকরা তুলতে পারছে না টাকা অসহযোগিতা ম্যানেজারের।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৫ই আগষ্ট…..খোয়াই মহকুমার অন্তর্গত সীমান্ত এলাকা আশারাম বাড়ি স্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের তাল বাহানার কারণে ঐ এলাকার ব্যাংকের গ্রাহকরা বিগত তিন মাস ধরে টাকা তুলতে পারছে না। এক লাগাতর বিগত তিন মাস ধরে ব্যাংকের ইন্টারনেট পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে অথচ ব্যাংকের ম্যানেজারকে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওই ব্যাংকের গ্রাহকদের। ঘটনায় বিবরণ দিয়ে ঐ ব্যাংকের গ্রাহকরা জানান গত তিন মাস ধরে আশারাম বাড়ী স্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের ইন্টারনেট পরিষেবা নেই বলে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন ।এমনকি অনেক গ্রাহক আছে যারা টাকার জন্য হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারছে না ।উনাদের টাকা রয়েছে ব্যাংকে, অথচ গ্রামীণ ব্যাংকের পরিষেবার জন্য একমাত্র সম্বল ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারছে না ব্যাংকের ম্যানেজারের গাফিলতির কারণে। ঐ ম্যানেজার যদি গ্রাহকদের সঠিক পরিষেবা দিত তাহলে গ্রাহকরা টাকা উঠিয়ে তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় অর্থাৎ তারা হাসপাতালে বা কোন বেসরকারি চেম্বারে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সকালে গ্রাহকরা আশারাম বাড়ি গ্রামীণ ব্যাংকে হাজির হয়ে গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়ে ম্যানেজার দেবজ্যোতি ভৌমিক এর সাথে কথা বলেন। উনি ব্যাংকের গ্রাহকদের বিভিন্ন আইন দেখিয়ে তাদের ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ।তারপর উনি উনার আইটি ডিপার্টমেন্ট বলে একজন কে ফোন করেন এবং ওই ফোনের জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন আমাদের কিছু করার নেই সেটা উপর মহল দেখবেন। এখানে গ্রাহকদের বক্তব্য উপর মহলে কে আছে এবং কাকে জানাবো গ্রাহকরা জানতে চায়। তাতে আশারাম বাড়ী গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার দেবজ্যোতি ভৌমিক অনেক আইন দেখিয়েছেন এলাকার সমস্ত গ্রাহক সহ সাংবাদিককে। যদিও এই বিষয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার কোন ধরনের সদ উত্তর দিতে পারিনি গ্রাহক সহ এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিজেদের কাজের গাফিলতি কে ঢাকতে বিভিন্ন ধরনের তাল বাহানা ইন্টারনেট গোলযোগ সহ বিভিন্ন আইন দেখিয়ে গ্রাহকদের জব্দ করতে চাইছে ব্যাংকের ম্যানেজার দেবজ্যোতি ভৌমিক। অথচ গত তিন মাস ধরে গ্রাহকরা টাকা তুলতে পারছ না সেই বিষয়ে কোনো চিন্তা নেই ম্যানেজারের। এই বিষয়টি নিয়ে খোয়াইয়ের বুদ্ধিজীবী মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন আশারাম বাড়ির মত সীমান্ত এলাকার একমাত্র ব্যাংকিং দপ্তর গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা গত তিন মাস ধরে গ্রাহকদের সঠিক পরিষেবা দিচ্ছেন না। এতে করে আশারাম বাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত আশারাম বাড়ি করাঙ্গী ছড়া, বনবাজার, সহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনগণ অর্থনৈতিক লেনদেন কোথায় করবে। এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের আগরতলা হেড অফিস যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট এলাকার যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা সমাধান করতে গ্রামীণ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটাই দেখার। তা না হলে ওদুর ভবিষ্যতে এই ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের একাউন্ট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। যদি তাই হয় তাহলে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই শাখাটির ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয় ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

19 − fourteen =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য