বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ২৫শে জুলাই…… একটি ভদ্র সমাজ গড়ে তুলতে পুলিশ এবং সুশীল সমাজের সকল অংশের নাগরিকরা চায় অবৈধ ড্রাগস এবং অবৈধ নেশা সামগ্রী থেকে দূরে থাকুক সমাজে প্রত্যেকটা নাগরিক। অর্থাৎ অবৈধ ড্রাগস এবং অবৈধ নেশা সামগ্রীর বাড় বাড়ন্ত বন্ধ হোক। তার মানে এই না অবৈধ ড্রাগসের সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে আইনের বেড়াজালে ফেলার অর্থাৎ পুলিশ নিজের বের্থতাকে ঢাকার জন্য দুই কৌটা ব্রাউন সুগার সহ এক ব্যক্তিকে ধরে তাকে গাঞ্জা সহ আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ কোটে চালান করে দেয়। যা পুলিশ করতে পারে না। এমনিই একটি ঘটনা গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার খোয়াই দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রদীপ কুমার দেব নামে এক ব্রাউন সুগার সেবনকারীকে আটক করে পুলিশ দুই কৌটা ব্রাউন সুগার সহ। এবং শুক্রবার সেই ব্যক্তিকে খোয়াই থানার পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলেন এন ডি পি এস ধারা যুক্ত করে! এই দিকে এক সূত্র মারফত জানা যায় গত কয়েক দিন আগে চেরমা এলাকার থেকে রাহুল দাস নামে এক গাজা কারবারি কে আটক করে পুলিশ তার দোকান থেকে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম গাজা সহ । সেই আটক কৃত গাঁজা ব্যবসায়ীর মামলার সাথে চক্রান্ত করে পুলিশ সেই মামলার সঙ্গে প্রদীপ কুমার দেবের নাম জরিয়ে এন ডি পি এস ধারা যুক্ত করে আদালতে পাঠায় শুক্রবার দুপুরে। যাতে আদালত থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে বেইল বন্ডের মাধ্যমে বলে অভিযোগ করেন প্রদীপ এর স্ত্রী স্মৃতি ওরাং। গোটা বিষয়টি আজ প্রদীপ দেবের স্ত্রী ক্যামেরার সামনে বললেন উনার ছেলেকে চিকিৎসার জন্য আগরতলাতে গিয়ে ছিলেন। রাতে স্বামীর ঘটনা জানতে পারেন। যথারীতি শুক্রবার খোয়াইতে আসেন এবং খোয়াই থানায় যান। যদিও উনার স্বামী প্রদীপ কুমার দেবের সাথে কি হয়েছে জানাতে পারেন। কিন্তু থানায় গিয়ে জানতে পারেন মহিলার স্বামী প্রদীপ কুমার দেবের কাছ থেকে দুই কৌটা উদ্ধার কৃত ব্রাউন সুগারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মামলা গ্রহণ না করে তাকে ফাঁসানোর জন্য আরেকটি গাঁজা ব্যবসায়ীর মামলার সাথে প্রদীপ কুমার দেবের নাম জরিয়ে তাকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে খোয়াই থানার পুলিশ। প্রদীপ এর স্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানান পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে উনার স্বামীকে ফাঁসিয়েছে। তিনি এও বলেন এই ধরনের এক দুইটি কৌটা সহ অনেক নেশা সেবন কারিকে পুলিশ আটক করে আবার ছেড়ে ও দেয়। তাহলে প্রদীপ এর সাথে পুলিশের দ্বীচারীতা কেন? সাধারণ একটি মামলাকে পুলিশ এমন ভাবে সাজিয়েছে যা স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে প্রদীপকে ফাঁসানোর জন্যই খোয়াই থানার পুলিশ এই ভাবে মামলাটিকে ঘুরিয়েছে কোন একটা সমঝোতার কারণে।এই দিকে হত দরিদ্র প্রদীপ কুমার দেবের স্ত্রী ও ৫ বছরের পুত্র নাখেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে।তাই প্রদীপ কুমার দেবের সাথে হওয়া অন্যায়ের সঠিক বিচার চাইতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে দ্বারস্ত হন প্রদীপ এর স্ত্রী স্মৃতি ওরাং যাতে করে প্রদীপ এর বিষয়ে সঠিক তদন্ত করা হয় এবং আসল ঘটনা সবাই জানতে পারে ওটাই প্রদীপ এর স্ত্রীর দাবি।