বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১৬ই জুলাই…… এক গুণধর শিক্ষকের দ্বারা চড় মারার কারণে ক্লাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়লেন খোয়াই লালছড়া দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। দেখা গেছে খোয়াই মহকুমা এলাকার মধ্যে অর্থাৎ খোয়াই শহরের তিন-চারটি বনেদি স্কুল গুলির মধ্যে খোয়াই লাল ছড়া এলাকার লাল ছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি একটি। এরমধ্যে খোয়াই শহরের বেশ কিছু স্কুল বিদ্যা জ্যোতির আওতায় আনা হলেও লাল ছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়টি এখনো ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত রয়ে গেছে। যার ফলে খোয়াই এর বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী এই বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন করতে আসে। কিন্তু মঙ্গলবার স্কুল চলাকালীন সময়ে এই স্কুলের একজন শিক্ষকের দ্বারা চর মারার কারণে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। শেষে চিকিৎসা করার পর সেই ছাত্রীকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।এই ঘটনাটি চাউর হতোই খোয়াই সংবাদ মহলের কর্মীরা আজ সেই বিদ্যালয়ে গিয়ে যে শিক্ষক ওই ছাত্রীকে মারধর করেছিল এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা গোটা বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যায়, এই স্কুলের ইনচার্জ অর্থাৎ শিক্ষক অলক দেব রায় ওই স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণীতে পঠরত ছাত্রীকে মারধর করেছেন। যদিও ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শেষে বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় স্কুলের শিক্ষক অলক দেব রায় ছাত্রীকে মারধর করেছিল তিনি স্কুলে আসেনি। উনাকে স্কুলে খুজে না পেয়ে ওনার টেলিফোন নাম্বারে সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি টেলিফোন ধরেন নি। তাই ঐ বিশেষ ওনার সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি অথবা ইচ্ছে করে উনি সামনে আসেননি।এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন যেখানে শিক্ষার আইন অনুসারে পরিষ্কারভাবে বলা আছে কোন ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা চোখ লাল করাই চলবেনা ।সে জাগাতে একজন দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রীকে চর মারলেন এবং তাতে আবার ছাত্রীটি অজ্ঞানও হয়ে যায়। এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন শিক্ষার আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষক অলক দেবরায় ছাত্রীকে মারলেন। যদিও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে পক্ষ থেকে এই বিষয়টিকে নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। এছাড়াও এই বিদ্যালয়ে সম্পর্কে খোয়াই এর শিক্ষা অনুরাগী মহলে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। গত কিছুদিন আগে শিক্ষা দপ্তরের যে আইন বছর বাঁচাও যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোন বিষয়ে অকৃতকার্য হলে তাকে আবার তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার সুযোগ প্রদান করেন শিক্ষা দপ্তর। স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ কথা শিক্ষক অলক দেব রায়ের গাফিলতিতে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী পরীক্ষায় বসতে পারেনি বলেও খবর রয়েছে বিভিন্ন সুত্রে। জানা যায় এই স্কুলেরই দ্বাদশ শ্রেণীর কলা বিভাগের ছাত্রী অনিশা আচার্জী বছর বাঁচাও সরকারি আইনে পরীক্ষা দিতে পারিনি। কারণ এই স্কুলের ইনচার্জ অর্থাৎ শিক্ষক অলক দেব রায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী অনিশা আচার্যীর এডমিট কার্ড এবং সেই পরীক্ষার রুটিন স্কুলে আসলেও সেই বিষয়ে পরীক্ষার্থী অনীশা আচার্জীকে খবর দেয়নি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ছাত্রী অনিশা আচার্জী কোনভাবে বিষয়টি জানতে পারে এবং এই বিষয়ে তার পরিবার শুদ্ধ ওই স্কুলের ইনচার্জ অলক দেবরায় কে জিজ্ঞেস করেন কেন তাদের মেয়ের এডমিট কার্ড ও পরিক্ষার রুটিন স্কুলে আসা সত্ত্বেও তাদেরকে কেন জানানো হয়নি। এই বিষয়ে শিক্ষক অলোক দেব রায় ছাত্রীর পিতা-মাতাকে সদ উত্তর দিতে পারিনি। শুধু তাই না সমস্ত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে যাতে খবরটি না পৌঁছায় তার জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করেছিলেন বিভিন্ন জায়গায়। যদিও এই বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের কাছে চাপা থাকতে পারেনি । সত্য ঘটনাটি ঠিক বেরিয়ে আসে। যদিও যেই ছাত্রটিকে মারা হয়েছে এই ছাত্রী এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে কিন্তু বুদ্ধিজীবী মহলের অভিযোগ শিক্ষক অলক দেব রায় রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষকতা করছেন। এখন দেখার বিষয় রাজ্য শিক্ষা দপ্তর এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কিনা আগামী দিন সেটাই দেখার বিষয়।