Wednesday, July 9, 2025
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদনিম্নমানের কাজের ফলে ২০৮ নং জাতীয় সড়কের অবস্থা বেহাল। সারাই করার কোন...

নিম্নমানের কাজের ফলে ২০৮ নং জাতীয় সড়কের অবস্থা বেহাল। সারাই করার কোন উদ্যোগ নেই। পয়সা লোপাটের অভিযোগ জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থার বিরুদ্ধে।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ৮ই জুলাই…..খোয়াই শহরের পাশ দিয়ে তৈরি হয়ে গেছে ২০৮ নং জাতীয় সড়ক। এই জাতীয় সড়ক তরীর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে । অন্যদিকে

কেন্দ্রীয় সরকারের এই বিশাল পরিমাণ টাকার আদ্য শ্রাদ্ধ করে ছেপ ল্যাপ দিয়ে কলকাতার একটি বহুজাতিক নির্মাণ সংস্থা ২০৮ নং জাতীয় সড়কের নির্মাণ কাজ করেছে। আর তাতেই দেখা গিয়েছে ঐ নির্মাণ সংস্থা কাজের বরাত পেয়ে অর্থের নয় ছয় করে নিজেদের মর্জি মাফিক কাজ করে কোনরকম ভাবে জোড়া তালি দিয়ে ২০৮ নং জাতীয় সড়কের কাজ সমাপ্ত করেছে।আর তাতে করে গত এক বছর ধরে খোয়াই শহর লাগুয়া ২০৮ নং জাতীয় সড়কটি মধ্যে অর্থাৎ খোয়াই জাম্বুরা থেকে শুরু করে মানিক ভান্ডার পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ২০৮ নং জাতীয় সড়ক যেন ধান ক্ষেতে রূপান্তরিত হয়েছে ।

পাশাপাশি এই সড়ক ধরে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাচ্ছে। তেমনি দৃশ্য আবার ধরা পড়লো সংবাদ মাধ্যমের মুঠো ফোনে মঙ্গলবার দুপুরে ২০৮ নং জাতীয় সড়কের চেরমা এলাকাতে।এই রাস্তা ধরে বিভিন্ন যান বাহন চলাচল করার সময় বড় বড় ট্রাক গাড়ির চালকদের সাথে কথা বলে জানতে পারা যায় ,তারা বড় বড় মাল বাহি গাড়ি নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করেন। কিন্তু এই ২০৮ নং জাতীয় সড়কের মতন বেহাল অবস্থা বহি রাজ্যে আর কোথাও দেখতে পাননি। তাতে করে এই রাস্তা ধরে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে তাদের ব্যাপক অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে ট্রাক চালকরা জানান। শুধু তাই নয় ২০৮ নং জাতীয় সড়কের বিভিন্ন এলাকাতে বেহাল অবস্থা হয়ে রয়েছে, যার কারনে বড় বড় ট্রাক চালকদের ওই সব এলাকা ধরে ট্রাক গাড়ি গুলিকে নিয়ে যেতে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।ওরা সব সময় একটা দুশ্চিন্তায় থাকেন কখন গাড়িটা কোন জায়গায় ফেঁসে না যায় অথবা পাল্টি খেয়ে পড়ে যায় সেই ভয়ে ভয়ে তারা বাধ্য হয়ে ২০৮ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। অন্যদিকে সূত্র মারফত জানা যায় কোলকাতার বহু জাতিকে নির্মাণ সংস্থা তাদের এই নিম্নমানের কাজের খবরকে ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন জায়গায় উপঢৌকন দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে তাদের এই নিম্নমানের কাজের খবর সংবাদে বহি প্রকাশ না হয়।

আর অন্যদিকে এই রাস্তা ধরে চলাচল কারীরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। অথচ ভঙ্গুর রাস্তা গুলি পরিদর্শনে জাতীয় সড়ক নির্মাণ সংস্থার কোন আধিকারিক বা কোন ইঞ্জিনিয়ারদের দেখা যায় না ভঙ্গুর রাস্তাটি পরিদর্শনে।তাহলে কি বলা যায় যে নির্মাণ সংস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ লোপাট করে পালিয়ে গেছে এমনটাই ধারণা করছে বুদ্ধিজীবী মহল। সব থেকে বড় বিষয় জাতীয় সড়ক নির্মাণ করার ক্ষেত্রে নেটের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কলকাতার বহুজাতিক যে নির্মাণ কোম্পানি সে নির্মাণ কোম্পানি অধিকাংশ খোয়াই মহকুমা এলাকার রাস্তার কাজ করেছেন, সেখানে কোন নেটের ব্যবহার করা হয়নি। কেন নেটের ব্যবহার করা হয়নি? এই বিষয়ে রাস্তার কাজ চলাকালীন সময় কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল, যদিও তারা বলেছিল নেট ধরা নেই কাজের বরাতে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় বিভিন্ন এলাকাতে জাতীয় সড়কের কাজ করা হয়েছিল সেখানে নেট ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সমস্ত এলাকাতে রাস্তার এত বেহাল অবস্থা হয়নি কিন্তু এই কোম্পানি যে এলাকাতে কাজ করেছেন অর্থাৎ খোয়াইতে কাজ করেছেন এখানেই বেহাল অবস্থা রাস্তার। এখন দেখার বিষয় সরকার নির্মাণ সংস্থার এই গোটা বিষয়টি নিয়ে আগামী দিনে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। রাস্তার যে বেহাল অবস্থা যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে যদি না অতিসত্বর জাতীয় সড়কটিকে সঠিকভাবে মেরামত করা হয়।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

one × three =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য