সড়ক নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের জন্য ১৬ টি বেসিক লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম সুবিধা যুক্ত অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন হলো। পরিবহন দপ্তরের এই অ্যাম্বুলেন্স গুলি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অনুরাগ ধ্যান কর মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ অন্যান্যরা।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন গুলির নিয়মমাফিক ফিটনেস এবং ওভারলোডিং টেস্টের জন্য আইন প্রণয়নের উপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,এতে দুর্ঘটনার হাত থেকে বহু লোকের জীবন বাঁচবে। অন্তত ছয় মাস বাদে বাদে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী ।পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে বেসিক লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ১৬টি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান এবং ভেহিকেল লোকেশন ট্রাকিং এন্ড মনিটরিং সিস্টেমের উদ্বোধন করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ।এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ,রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অনুরাগ ধ্যান কর মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানে পতাকা নেড়ে অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পরিবহন দপ্তরের এই ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন ,আগে পরিবহন দপ্তর কেবলমাত্র গাড়ি, স্কুটি এবং বাইক নথিভুক্তকরণ নিয়েই ব্যস্ত থাকতো ।বর্তমানে দায়বদ্ধতা নিয়ে সড়ক সুরক্ষার দিকটিও পরিবহন দপ্তর সামাল দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ।তিনি বলেন ,আজকের এই অ্যাম্বুলেন্স গুলি জাতীয় সড়কের উপর গতিবিধি দেখা যাবে ।এগুলি জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে অতি দ্রুত দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছে যাবে ।এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যানবাহন গুলির নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষা জরুরী ।ওভারলোডিং এর বিষয়টিও দেখভাল করা জরুরী। এতে করে বহু লোকের জীবন বাঁচবে ।তিনি বলেন এই ক্ষেত্রে আইন আনা যায়। একটি নির্দিষ্ট সময় বাদে বাদে ওভারলোডিং এবং ফিটনেস টেস্ট করা প্রয়োজন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন ,রাজ্যে যান দুর্ঘটনা এবং এর থেকে জীবনহানির ঘটনা অনেকটাই কমছে। কারণ একাধিক জাতীয় সড়ক নির্মাণ হচ্ছে ।তিনি আরো বলেন ,এই অ্যাম্বুলেন্স গুলি সড়ক নিরাপত্তায় বিরাট ভূমিকা পালন করবে।
এই রোড সেফটি ইভেন্ট প্রজেক্টে ব্যয় হবে ১৪ কোটি ১২ লক্ষ টাকা ।পরিবহন দপ্তর থেকে এই টাকা ব্যয় করা হবে।