তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ–
খেলার মাঠে দুই ক্রিকেটারের মধ্যে কোন এক বিষয়’কে কেন্দ্র করে প্রথমে বাকবিতণ্ডা এবং পরবর্তীতে রক্তারক্তি কান্ড! ঘটনা মঙ্গলবার তেলিয়ামুড়া ভগৎ সিং মিনি স্টেডিয়াম তথা দশমীঘাট মাঠে।
সংবাদে প্রকাশ, তেলিয়ামুড়া দশমীঘাট মাঠে ক্লাব ভিত্তিক মহিলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের প্র্যাকটিস যখন অন্যান্য দিনের মতো চলছিল তখন হঠাৎ রাজধানী আগরতলার কোন এক ক্লাবের পক্ষে বেশ কয়েকজন মহিলা ক্রিকেটার অনুশীলন করছিল। তাদের মধ্য থেকে সিনিয়র ক্রিকেটার তেলিয়ামুড়া শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা বয়স ২৮-এর সোমা পাল এবং তেলিয়ামুরা জারুইলং বাড়ি এলাকার বাসিন্দা বয়স ২৬-এর প্রিয়াঙ্কা দাসের মধ্যে খেলা সংক্রান্ত কোনো এক বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরবর্তীতে বাকবিতণ্ডার মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, তা হাতাহাতির রূপ নেয়। ফলে ক্রিকেটার সোমা পাল গুরুতরভাবে রক্তাক্ত হয়।
এদিকে সিনিয়র ক্রিকেটার সোমা পালের ভাই প্রসূন পালের অভিযোগ,, তাকে মঙ্গলবার অনুশীলনে যাওয়ার পর সিনিয়র প্লেয়ার প্রিয়াঙ্কা দাস জিজ্ঞাসা করে যে ,সে নাকি জুনিয়র মহিলা ক্রিকেটারদের কাছে তার নামে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করেছে। এই কথা বলার পরপরই সোমা পালের উপর আঘাত করতে শুরু করে সিনিয়র প্লেয়ার প্রিয়াঙ্কা দাস সহ তার সাথে থাকা অন্যান্য ক্রিকেটার’রা। তার আরও অভিযোগ, যে একটা সময় নাকি তাকে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে বেধড়ক হবে জুতো দিয়ে মারধর করা সহ তার নাকে ঘুষি দিয়ে নাক দিয়ে রক্ত বের করে দেয়। এবং দীর্ঘদিন ধরেই প্রিয়াঙ্কা দাস সোমা পালের খেলাধুলা সংক্রান্ত কোনো এক বিষয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করা সহ হিংসা করতো।
অন্যদিকে, সিনিয়র প্লেয়ার প্রিয়াঙ্কা দাসের অভিযোগ,, সোমা পাল নাকি খেলাধোলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে তার উপর হামলে পড়ে এবং তাদের পেটে পিঠে লাথি সহ কিল দিতে থাকে যার ফলশ্রুতিতে তাদের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। প্রিয়াঙ্কা দাস আরো জানিয়েছেন, সোমা পালের বড় ভাই প্রসূন পাল যখন ঘটনার খবর পেয়ে মাঠে পৌঁছে মারধোরের ঘটনা সামাল দিতে যান, তখনো নাকি সোমা পাল তাদের মারধোর করতে থাকে।
ঘটনার পরবর্তীতে সোমা পালের বড় ভাই প্রসূন পাল মারধোর সামাল দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত সোমা পাল’কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোমা পালের চিকিৎসা করা সহ তার হাতে পাঁচটি সেলাই লাগায়।
গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, আহত সোমা পালের পরিবারের পক্ষ থেকে তেলিয়ামুড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সংবাদ লেখা পর্যন্ত, অপর পক্ষের প্রিয়াঙ্কা দাসের পক্ষ থেকে কোন ধরনের মামলা দায়ের করা হয়নি।
তবে গোটা ঘটনা’কে কেন্দ্র করে তেলিয়ামুড়ার শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহল এবং ক্রীড়ানুরাগি মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।