রাজ্যের উন্নয়নে সরকারি আধিকারিকরা হলেন চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকশিত ভারত গড়ে তোলার জন্য কাজ করছেন। বিকশিত ভারত গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর টিম ইন্ডিয়ার মতো রাজ্যের বিকাশে টিম ত্রিপুরা গঠন করতে হবে। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে টিম ত্রিপুরাকে একত্রে কাজ করতে হবে। আজ উদয়পুরের রাজর্ষি হলে পশ্চিম ত্রিপুরা, দক্ষিণ ত্রিপুরা, সিপাহীজলা এবং গোমতী জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে জেলাভিত্তিক এক কর্মশালার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমেই উন্নয়ন কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। এর সুফল যাতে সাধারণ মানুষ পান তার জন্য মানুষের কাছে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েতে ই-অফিস চালু করা হয়েছে। এর উপকারিতা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন। ত্রিপুরা এখন পারফর্মিং স্টেট থেকে ফ্রন্ট রানার্স স্টেটে রূপান্তরিত হয়েছে। ত্রিপুরাতে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার জন্য সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, টিবি মুক্ত ভারত গড়ে তোলার জন্য ত্রিপুরা খুব ভাল জায়গায় রয়েছে। আজকের কর্মশালার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এধরণের কর্মসূচি মহকুমা থেকে ব্লকস্তরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিকশিত ভারতের রূপরেখা ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার বিষয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নয়াদিল্লিতে আয়োজিত সম্মেলনে আলোচিত বিষয়গুলি সম্পর্কে রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের অবগত করার জন্য রাজ্যেও কর্মশালা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরই অঙ্গ হিসেবে আজ উদয়পুরের রাজর্ষি হলে ত্রিপুরার চারটি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে এক জেলাভিত্তিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
আজকের এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, নগর উন্নয়ন এবং গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব ড. কে শশী কুমার, গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক স্মিতা মল সহ প্রতিটি জেলার অন্তর্গত বিভিন্ন মহকুমার মহকুমা শাসকগণ, চার জেলার প্রতিটি ব্লকের বিডিও থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও মহকুমা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ।
আজকের এই কর্মশালার মধ্য দিয়ে মুখ্যসচিবদের সম্মেলনের যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে কি রূপরেখা তৈরী করা যায় সে বিষয়ে প্রত্যেককে অবগত করা হয়। বিকশিত ভারত গঠনের জন্য কি কি কর্মসূচি নেওয়া উচিত সে বিষয়েও কর্মশালায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। আজকের এই কর্মশালায় ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা।