ককবরক ভাষা আন্দোলনের কমরেড ধনঞ্জয় ত্রিপুরার ৫১-তম শহীদান দিবস পালন করা হয়েছে। এদিন আগরতলা সিপিএম রাজ্য কার্যালয়ে বামফ্রন্টের আহবায়ক নারায়ন কর সহ অন্যান্যরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তাছাড়া, ধনঞ্জয় ত্রিপুরার শহিদান দিবসে ধনঞ্জয় পার্কে প্রয়াত নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী।
যথাযথ মর্যাদার সাথে রাজ্যে পালিত হল ককবরক ভাষা আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা কমরেড ধনঞ্জয় ত্রিপুরার ৫১-তম শহীদান দিবস । রাজধানীর মূল অনুষ্ঠানটি হয় সিপিএম রাজ্য কার্যালয়ে । এদিন শহীদ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার প্রতিকৃতিতে পুস্প অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃত্বরা । এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শ্রী চৌধুরী বলেন, ককবরক ভাষাকে রাজ্য ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবি সহ চার দফা দাবিতে মিছিল করায় ১৯৭৫ সালের ৩ মার্চ জোলাইবাড়িতে পুলিশ গুলি চালিয়ে হত্যা করে ধনঞ্জয় ত্রিপুরাকে। ১৯৭৮ সালে বামফ্রন্ট সরকার এসে ১৯৭৯-সালের ১৯ জানুয়ারি ককবরক ভাষাকে রাজ্য ভাষার মর্যাদা দেয় । তারপর পর থেকে আজকের দিনে গণ মুক্তি পরিষদ এবং সিপিএমের তরফ থেকে শহীদ ধনঞ্জয় ত্রিপুরার শহীদান দিবস পালন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের মতো এবছরও শহীদ ধনঞ্জয় পার্কে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। এদিন বামফ্রন্টের আহবায়ক নারায়ণ কর বলেন, গত ৫০ বছর আগে ককবরক ভাষাকে রাজ্য ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবি সহ চার দফা দাবিতে কংগ্রেসের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিল ধনঞ্জয় ত্রিপুরা। তাছাড়া, ওই আন্দোলন জাতি জনজাতিরাও আহত হয়েছিল। বর্তমানে বিজেপি ও তিপরা মথা জাতি, উপজাতির মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। থানসার নাম করে অনুপজাতি বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করছে। অপরদিকে কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকার উপজাতিদের প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি।