বাসুদেব ভট্টাচার্য্যী খোয়াই ২রা মার্চ….. বর্তমান সময়ে ড্রাগস সহ অবৈধ নেশা সামগ্রীর কারবারীদের পর্যাপ্ত আস্ফালনে বর্তমান যুবসমাজ আজ ধ্বংসের পথে। যদিও পুলিশ প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ নেসা সামগ্রীর কারবার কে লাগাম টানতে। অবৈধ নেশা সামগ্রীর বাণিজ্য বন্ধ করা কি আদৌ সম্ভব শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায়, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মহল থেকে। বর্তমানে অবৈধ নেশা কারবারি দের জাল শহরের আনাচে-কানাচে থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। পুলিশ প্রশাসন শত চেষ্টা করেও এর লাগাম টানতে পারছে না। বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী মহল থেকে দাবি উঠতে শুরু করেছে , অবৈধ নেশা সামগ্রীর কারবারের সঙ্গে যুক্ত, অর্থাৎ যারা অবৈধ নেশা সামগ্রী কারবার করছেন তাদেরকে সামাজিক বয়কট করা হোক। কারণ এই সমস্ত অবৈধ নেশা সামগ্রীর কারবার করে অবৈধ নেশা কারবারিরা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন অন্যদিকে যুবসমাজের একটা বৃহৎ অংশের যুবক-যুবতীদের জীবন ধ্বংস করছে। যে সমস্ত যুবক-যুবতীরা এই অবৈধ নেশার কোরাল গ্রাসে আসক্ত, তাদের কে রক্ষা করার দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে। পুলিশ প্রশাসন তো চেষ্টা করছে তারপরও লাগাম টানতে পারছে না। অন্যদিকে নেশা বাণিজ্যে সঙ্গে যুক্ত নেশা কারবারীরা সমাজ ধ্বংস করার পাশাপাশি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছেন। এমনই একটি নজিরের উদঘাটন করলো পুলিশ খোয়াই এর বনকর এলাকাতে। কাজল তাঁতি নামে এক নেশা কারবারির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু প্রায় ২১ গ্রাম ব্রাউন সুগার অবৈধ নেশা সামগ্রী সহ মোবাইল ও বেশ কিছু সামগ্রী আটক করল পুলিশ। যদিও পরে অবৈধ নেশা কারবারি কাজল তাঁতি কে জালে তুলতে সক্ষম হয় পুলিশ। সব থেকে উল্লেখযোগ্য খবর হলো সূত্র মারফত জানা যায় এই অবৈধ নেশা কারবারি কাজল তাঁতির ব্যাংক একাউন্টে নাকি প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা রয়েছে। কোথায় থেকে আসলো এই টাকা বুদ্ধিজীবী মহলের প্রশ্ন এই কাজল তাঁতি কি করেন এমন কি ব্যবসা তার অ্যাকাউন্টে ৬০ লক্ষ টাকা রয়েছে। পারিবারিক রোজগার তার কি। আর এতই যদি রোজগার থেকে থাকে তাহলে সরকারি জায়গায় থাকেন কেন কাজল বাবু। বুদ্ধিজীবী মহল এর অভিযোগ এই কাজল তাঁতি যুব সমাজকে ধ্বংস করে যুব সমাজের হাতের কাছে পৌঁছে দেন ড্রাগস ,ব্রাউন সুগারের মত অবৈধ নেশা সামগ্রী গুলি। আর অন্যদিকে যুব সমাজকে ধ্বংস করে সরকারি জায়গায় থেকে লাখো লাখো টাকার কুমির হচ্ছে কাজল তাঁতি। শুধুমাত্র কাজল তাঁতি নয় অবৈধ নেশা সামগ্রীর শিখর অনেকদূর পর্যন্ত গড়িয়েছেন। আর এই অবৈধ নেশা সামগ্রীর শিখর থেকে তুলে ফেলতে হলে অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি খোয়াই মহকুমা এলাকার প্রত্যেক নাগরিক এই কাজল তাঁতির মত নেশা কারবারীদেরকে সামাজিক বয়কট করার প্রয়োজন। অন্যথায় আমাদের যুব সমাজ এবং আমাদের আগামী প্রজন্ম কে শুধুমাত্র পুলিশ রক্ষা করতে পারবে না।