মানুষের অনুপ্রেরণাতেই নতুন দিশায় সরকার কাজ করার উৎসাহ পায় বললেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রয়োজন । তাই রাজ্যে সরকারি চাকরিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ রাখা হয়েছে । আজ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুমারঘাট মহকুমা হাসপাতালের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব । মহকুমা হাসপাতালের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন , এতো বড় জনসমাগমের মধ্যে একজন হাত তুলে বলুন তো কার খাদ্য নেই , বস্ত্র নেই । এই সরকার সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে । আমরা নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয়ী । বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার তার ধারাবাহিক কর্মকান্ড জারি রেখেছে । তাই গণবন্টন ব্যবস্থা থেকে শিক্ষা , স্বাস্থ্য সর্বক্ষেত্রে নতুন দিশায় উন্নয়ন হচ্ছে । রাজ্যে ফরেন্সিক ইউনিভার্সিটি যেমন হয়েছে তেমনি জিবি হাসপাতালে হয়েছে ওপেন হার্ট সার্জারিও । তাও বিনামূল্যে । এটাই হলো পরিবর্তন । এখন রাজ্যেই উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায় । নিউরো থেকে বাইপাস সার্জারিও হয় আমাদের রাজ্যে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্প রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে । বর্তমান সরকার এখন পর্যন্ত শহর ও নগর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার সুবিধাভোগীকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছে । জলজীবন মিশনে রাজ্যের প্রতি ঘরে বিনামূল্যে পানীয়জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । জাতীয় সড়ক থেকে সার্বিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাজ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে , আরও হবে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন , কোভিড অতিমারীর সময়ে বিভিন্ন সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বিনামূল্যে কোভিড টিকাকরণও করা হয়েছে । রাজ্যবাসীর কল্যাণে গত অর্থবছরের তুলনায় এবারের রাজ্য বাজেটে ১৮.৬৬ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে । অনুষ্ঠানে শ্রমমন্ত্রী ভগবান দাস বলেন , আজ কুমারঘাটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রত্যাশা পূরণ হলো । সরকার রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায়ও স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঊনকোটি জিলা পরিষদের সভাধিপতি অমলেন্দু দাস । স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা . শুভাশিস দেববর্মা । উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুধাংশু দাস , কুমারঘাট পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন বিশ্বজিৎ দাস , জেলাশাসক উত্তম কুমার চাকমা , জেলা পুলিশ সুপার কিশোর দেববর্মা সহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিগণ ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ । অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অটল স্বসহায়ক দলের সদস্যাগণ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তাদের হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন । সেইসঙ্গে কুমারঘাট লায়ন্স রয়্যালসের পক্ষ থেকে কুমারঘাট মহকুমা হাসপাতালের জন্য ৩ টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তুলে দেওয়া হয় । মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের দ্বারোদঘাটনের পরে নবনির্মিত ভবন ঘুরে দেখেন । উল্লেখ্য , এই হাসপাতালের ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা । ইতিমধ্যেই ১৬ টি কোয়ার্টারের মধ্যে ৪ টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে ।