জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে কৃষি ক্ষেত্রকে মুক্ত করার জন্য কৃষি গবেষণা ক্ষেত্রে অর্থ মঞ্জুরী প্রয়োজন। শুক্রবার লেম্বুছড়াস্হিত কলেজ অব এগ্রিকালচার ত্রিপুরায় দুই দিনের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করে এই কথা বলেন রাজ্যের বন ও পরিবেশ প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা।
কৃষি ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং অভিযোজন জনিত কৌশল নিয়ে দুই দিনব্যাপী কর্মশালা শুক্রবার থেকে লেম্বুছড়াস্থিত কৃষি মহাবিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ।এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন রাজ্যের বন, পরিবেশ ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা ক্লাইমেট চেঞ্জ সেল এর অধিকর্তা ডঃ মহেন্দ্র সিং, কৃষি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ সেন সহ অন্যান্যরা ।এই কর্মশালার উদ্বোধন করে বন ,পরিবেশ ও প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা উনার বক্তব্যে বলেন ,কৃষি ক্ষেত্রে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব বহুমুখী ।এই প্রভাব দূরীকরণে কৃষকদের জলবায়ু পরি বর্তন সংক্রান্ত তথ্য সম্পর্কে অবগত করা বিশেষ প্রয়োজন ।এই ক্ষেত্রে রাজ্যের কৃষকদের নিয়ে একটি ডাটাবেস তৈরি করার জন্য কৃষি মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা ।তিনি বলেন, এই ডাটাবেস একান্ত প্রয়োজন। শুধু ডাটাবেস তৈরী করলেই চলবে না ,জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্যগুলি কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ।কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণার গুরুত্ব অপরিসীম বলে জানান মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা ।তিনি জানান, গবেষণা ছাড়া দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব নয়। এই গবেষণার জন্য অর্থ মঞ্জুরি একান্ত প্রয়োজন ।তিনি আরো বলেন ,কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলিই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশকে পথ দেখাতে পারে।
মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা আরো জানান ,পাহাড়ে সবোজায়ন তৈরি করে জল ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন যোজনা হাতে নিয়েছে তিনি বন দপ্তরের দায়িত্ব পাওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা।