চাকরি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে দিব্যাঙ্গদের অধিকার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষ পলিসি গ্রহণ করেছে সরকার ।রবিবার আগরতলা প্রেসক্লাবে অল ত্রিপুরা ব্লাইন্ড কমিটির উদ্যোগে লুই ব্রেইলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বললেন রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা অধিদপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। এই অনুষ্ঠানে কৃতিদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
দৃষ্টিহীনদের লেখাপড়া শেখার জন্য ব্রেইল পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন ফ্রান্সের লুই ব্রেইল ।৪ জানুয়ারি তার জন্মদিন। এ বছর গোটা বিশ্বজুড়ে মহামতি লুই ব্রেইলের ২১৬ তম জন্মজয়ন্তী পালিত হচ্ছে। এরই অঙ্গ হিসেবে রবিবার আগরতলা প্রেসক্লাবে এক মনোগ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে অল ত্রিপুরা ব্লাইন্ড কমিটি ।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় ।অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন দৃষ্টিহীন এবং দিব্যাঙ্গ ভাই-বোনদের জন্য রাজ্য সরকার উদার মনোভাব নিয়ে কাজ করে চলছে, ।দৃষ্টিহীনদের জন্য পৃথক একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রয়াস রয়েছে রাজ্য সরকারের ।এই প্লাটফর্মে তারা থাকতে পারবেন, খেলাধুলা করতে পারবেন। তিনি আরো জানান, দিব্যাঙ্গজন এবং দৃষ্টিহীনদের শিক্ষার প্রসারেও সরকার সক্রিয় ।উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম ১০ জন কে ৫৪ হাজার টাকা করে সরকার প্রদান করে চলছে। মাধ্যমিকের কৃতিদের চব্বিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে ।মন্ত্রী জানান, পত্র-পত্রিকায় যদি এমন কোন সংবাদ পরিবেশিত হয় যে দিব্যাঙ্গজন বা দৃষ্টিহীনরা সামাজিক ভাতা পাচ্ছেন না, তবে সরকার নিজ উদ্যোগে সেই তথ্য যাচাই করে তাকে সামাজিক ভাতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে।মন্ত্রী আরো জানান, দিব্যাঙ্গজনদের জন্য এই প্রথম রাজ্য সরকার পলিসি গ্রহণ করেছে। চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে যেন তারা বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সরকার পলিসি গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে দৃষ্টিহীন কৃতি ছাত্র-ছাত্রী এবং ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয় ।এই অনুষ্ঠানে দৃষ্টিহীনদের নিয়েই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।