Saturday, December 21, 2024
বাড়িখবররাজ্যছিটমহল বিনিময়ের ফলে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় লাভ হয়েছে : অমিত শাহ

ছিটমহল বিনিময়ের ফলে ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় লাভ হয়েছে : অমিত শাহ

প্রথমবারের মতো ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭২তম প্লেনারি সেশন। দুদিন ব্যাপী এই সেশন উপলক্ষে প্রথম দিন শনিবার(২১ ডিসেম্বর) একাধিক জায়গায়একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের পৌরহিত্য করছেন ভারত সরকারের গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়াও রয়েছেন ভারত সরকারের উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিনন্ধিয়া, উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের আটটি রাজ্যের রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এই উপলক্ষে এদিন আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলে উত্তর-পূর্বাঞ্চল ব্যাংকার্স কনক্লেভ -২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। নর্থ-ইস্ট ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন লিমিটেড’র (নিডফি) উদ্যোগে হয় এই কনক্লেভ। মূলত দুই পর্বে এই কনক্লেভ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নিডফি’র চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি ভি এস এল এন মূর্তি, রাজ্য সরকারের অর্থ সচিব এম নাগা রাজুসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এখানে উত্তরপূর্বের বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং নিডফি’র কাজ কর্মের বিষয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দ্বিতীয় পর্বে আয়োজিত এই কনক্লেভে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অমিত শাহ, তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভারতের জিডিপি যেখানে ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের জিডিপি ১১ থেকে ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘ বছর উত্তর-পূর্বাঞ্চল উপেক্ষিত ছিল কিন্তু বিজেপি সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের জন্য একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে। এরই ফলস্বরূপ সারা দেশের তুলনায় এখন উত্তর পূর্বাঞ্চল এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়েও তিনি আশাবাদী। এই বিষয়ে অমিত শাহ বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছু ছিট মহল ছিল। এই ছিট মহল গুলোর জন্য উভয় দেশের মধ্যে নানা সমস্যা হচ্ছিল। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংবিধান সংশোধন করে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করেছেন। এর প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের উৎপাদিত পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন উত্তর পূর্বাঞ্চল লাভবান হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশেরও অনেক আর্থিক সুবিধা হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমাখান্ডু সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

fourteen + 14 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য