রাজ্যের ছোট্ট পরিসরকেই সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে চায় সরকার। বৃহস্পতিবার জিরানিয়ার আই এস টি টি তে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করে বললেন কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ ।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
বৃহস্পতিবার জিরানিয়ার মাধব বাড়ির আইএসটিটি থেকে ত্রিপুরা সরকারের উদ্যোগে কৃষকদের উন্নয়নে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কর্মসূচি শুরু হয়েছে ।এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিরানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, রানীবাজার পৌর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার দাস ,কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় ,খাদ্য দপ্তরের সচিব রাভাল হেমেন্দ্রকুমার ,কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস ,জিরানিয়া মহকুমা শাসক শান্তি রঞ্জন চাকমা সহ অন্যান্যরা ।এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী বলেন,কৃষি ক্ষেত্রে রাজ্য এগিয়ে চলছে ।দেশের মধ্যে প্রতি হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনে ত্রিপুরা ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে ।টমেটো উৎপাদনে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে ।সুপারি ফলনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। মন্ত্রী বলেন ,কৃষকরা হল অন্নদাতা ।কৃষকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জমি খালি রাখবেন না। জমিতে যা ইচ্ছে হবে তাই ফলান ।রাজ্য সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। রাজ্য সরকার সব রকমের সাহায্য করতে প্রস্তুত ।মন্ত্রী আরো জানান ,রাজ্যের ছোট্ট পরিসরকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়েই এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে চায় সরকার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান ,কৃষি নির্ভর অর্থনীতির দেশ ভারত বর্ষ। কৃষকদের অন্নদাতা হিসেবে আমরা চিহ্নিত করে থাকি। কৃষকদের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ সুদৃঢ় করার লক্ষ্যেই সরকার ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ।এবছর রাজ্যের 51 টি কেন্দ্র থেকে ধান ক্রয় করা হবে। আগামী এক মাস ধরে চলবে এই ধান ক্রয় প্রক্রিয়া ।এবছর ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে ।২৩ টাকা প্রতি কিলো দরে দান ক্রয় করা হবে ।খাদ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৩৫৭ কোটি টাকার ধান ক্রয় করেছে ।এতে ১ লক্ষ ৭ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন ।এতে মজবুত হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি ।আর এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহযোগিতায় রাজ্য সরকার এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এদিন এই ধান ক্রয় অনুষ্ঠানে জিরানিয়া ও সন্নিহিত এলাকার প্রচুর সংখ্যক কৃষক তাদের উৎপাদিত ধান ক্রয় করার লক্ষ্য নিয়ে উপস্থিত হন ।জিরানিয়ার এই স্থানে আগামী কয়েক দিন ধরে চলবে এই ধান ক্রয় প্রক্রিয়া।