তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি :-
তেলিয়ামুড়া থানা এলাকায় নেশায় আসক্ত যুবকদের চুরির উপদ্রবে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। ড্রাগসের নেশার পয়সার যোগান দিতে দিন দুপুরে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের সামনে থেকে একটি বড় ছাগল সহ তার দুটি বাচ্চাকে চুরি করে নিয়ে যায় ড্রাগসের নেশায় আসক্ত এক চোর সবার সামনে দিয়ে। অথচ ওই যুবক যে চোর কেউ ভাবতেও পারিনি।
জানা যায় শুক্রবার দুপুর আনুমানিক দুটো নাগাদ তেলিয়ামুড়া হাসপাতাল চৌমুহনী এলাকারই হরিপদ দাসগুপ্তের একটি ছাগল ও তার দুটি বাচ্চা সহ চুরি করে এক চোর তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের সামনেই কিছুক্ষণ বেঁধে রাখে ছাগলগুলি’কে। পরবর্তী সময়ে প্রায় আট ঘণ্টা পর সবার সামনেই এই ছাগল গুলি নিজের বলে দাবি করে সেখান থেকে একটি টমটমে করে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা হলে ছাগলটির মালিক খুঁজতে খুঁজতে যখন তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের সামনে আছে এবং খুঁজাখুঁজি করতে থাকে তখন এক ব্যক্তি জানায় দুপুর আড়াইটা নাগাদ এলাকায় ড্রাগস সেবনকারী হিসেবে পরিচিত এক যুবক ছাগলটিকে তার বাচ্চা দুটি সহ একটি একটি টমটম করে নিয়ে যায়। তখন হাসপাতাল চৌমুহনীর টমটম চালকরা জানতে পারে যে টমটম চালককে খবর দেয় এবং সে এসে জানায় এই ছাগল টিকে চাকমাঘাটের কোন এক বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে এসেছে। তখন ছাগলের মালিক এবং কয়েকজন মিলে চাকমাঘাটের ওই বাড়ি থেকে ছাগল সহ ছাগলের বাচ্চা দুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে এবং সন্ধান পাওয়া যায় কে সেই ছাগলটিকে চুরি করেছে। ওই ছাগলটির মালিক জানায় গামাইবাড়ি হাসপাতাল চৌমুহনী এলাকারই চন্দন ড্রাইভারের ছেলে চিরঞ্জিত ওরফে চাংকু এই ছাগল সহ ছাগল ছানা দুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। তার বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাওয়া হলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। আগামী কাল ছাগলের মালিক আগামীকাল ওই যুবকের নামে তেলিয়ামুড়া থানায় মামলা করবেন বলে জানান। অন্যদিকে এলাকাবাসীদের অভিযোগ, অতীতেও এই চিরঞ্জিত ওরফে চাংকু এলাকা থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে ড্রাগসের নেশা করার পয়সার যোগান দিতে।।