বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১২ই নভেম্বর…… সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় খোয়াই পুরাতন টাউন হলে খোয়াই জেলা শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এক “প্রকাশ রাষ্ট্রীয় সারবেকশন” নামে এক সতর্কমূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচি মূলত সারা রাজ্যে অর্থাৎ প্রতিটি জেলাতে জেলা শিক্ষা দপ্তর এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজ্যভিত্তিক কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে খোয়াই জেলাতে অনুষ্ঠিত হয়। সোমবারের এই কর্মসূচিতে অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা , শিক্ষা দপ্তরে সহকারী অধিকর্তা হর্ষিতা বিশ্বাস, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক অভিজিৎ সমাজপতি, জেলা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক দীনেশ দেববর্মা, দুলাল দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। মুলত এই অনুষ্ঠানটি জেলা শিক্ষা দপ্তর এর উদ্যোগে যে কর্মসূচিটি ছিল সেটা হল ছাত্র-ছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এই কর্মসূচি। মূলত ষষ্ঠ শ্রেণি এবং নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার গুণগতমান কতটুকু উন্মেশিত হয়েছে সেটাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য এই কর্মসূচি। উক্ত যে কর্মসূচিটি ছিল সেটা হল খোয়াই জেলার ৪৬২টি স্কুলের একজন একজন করে প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন। প্রধান শিক্ষক অথবা প্রধান শিক্ষিকা বা সহকারী প্রধান শিক্ষক অথবা সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আজকের সচেতনামূলক এই কর্ম শালায় অংশগ্রহণ করবেন। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিরা বৃক্ষের মধ্যে জল দানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হন। বিভিন্ন অতিথিরা আজকের অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা করেন পরবর্তীতে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এন সি শর্মা রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের অধিকত্তা তথা প্রাক্তন খোয়াই মহকুমা শাসক অনুষ্ঠানের গুরুত্ব এবং প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলির পঠন পাঠন নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। আসলে শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা খোয়াইতে দীর্ঘদিন মহকুমা শাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন সেই সুবাদে খোয়াইয়ের প্রতিটি এলাকা সম্বন্ধে তিনি অবগত। প্রধান অতিথি এন সি শর্মা প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকাদের নাম ধরে জিজ্ঞাসা করেন স্কুল গুলির শিক্ষা ব্যবস্থা কি রকম চলছে এবং স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বিস্তারিতভাবে শুনেন। তিনি পরিষ্কারভাবে বলবার চেষ্টা করেন রাজ্য সরকার তথা কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্তভাবে ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষার জন্য খরচ করছেন কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের গুণগত শিক্ষার অভাব রয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা স্কুল ইন্সপেক্টরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি আজকের এই কর্মশালাতে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে আহবান রাখেন অবশ্যই ছাত্রছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা প্রদান করা হয় এবং “প্রকাশ রাষ্ট্রীয় সারবেকশন”এই কর্মসূচি সার্বিকভাবে সফল হয়। আজকের এই কর্মসূচি ছাত্র-ছাত্রীদের গুণগত শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কি ভূমিকা গ্রহণ করা হয় এটাই দেখার বিষয়।