Friday, November 22, 2024
বাড়িখবররাজ্যনয়া নজির ,মাত্র ৬৭০ গ্রাম ওজনের নবজাতক কে বাঁচালো জিবি হাসপাতাল

নয়া নজির ,মাত্র ৬৭০ গ্রাম ওজনের নবজাতক কে বাঁচালো জিবি হাসপাতাল

মাত্র ৬৭০ গ্রাম ওজনের এক শিশু কন্যাকে সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে বাঁচিয়ে তোলা হলো এজিএমসি তথা জিবি হাসপাতালে ।দীর্ঘ ৯০ দিনের চিকিৎসা পরিষেবায় নবজাতক বর্তমানের সুস্হ্য এবং স্বাভাবিক রয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান এজিএমসি তথা জিবি হাসপাতালের চিকিৎসকরা ।তারা জানান এই ধরনের ঘটনা এজিএমসি তথা জিবি হাসপাতালে এই প্রথম।

চিকিৎসা পরিষেবায় আরো একটি নজির স্থাপন করলো এজিএমসি তথা জিবি হাসপাতাল ।দীর্ঘ ৯০ দিনের চিকিৎসা পরিষেবায় মাত্র 670 গ্রাম ওজনের এক শিশুকন্যাকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করে তোলা হলো। জানা গেছে কমলপুরে নলোয়ার বাসিন্দা সৈয়দ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া বেগমকে চলতি বছরের সাত আগস্ট বিকেলে সাত মাসের গর্ভবতী অবস্থায় ধলাই জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ।সেদিনই রাত 11:30 নাগাদ একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তানিয়া বেগম ।কিন্তু শিশুকন্যাটির ওজন ছিল মাত্র ৬৭০ গ্রাম যা কোন নবজাতকের স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে অনেক অনেক কম ।মাত্র সাত মাসে প্রসব হওয়ায় এবং কম ওজনের হওয়ায় শিশু কন্যার মধ্যে একাধিক শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় ।তাকে সাথে সাথে জিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ।জিবি হাসপাতালে পেডিয়াট্রিকস বিভাগের চিকিৎসকরা একটি টিম গঠন করে শিশুকন্যার চিকিৎসা শুরু করেন ।ধাপে ধাপে প্রায় ৯০ দিন ধরে চলে এই চিকিৎসা পরিষেবা। চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে সুস্হ্য এবং স্বাভাবিক হয়ে ওঠে শিশু কন্যাটি। বৃহস্পতিবার ৯০ দিন পর শিশু কন্যাটিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয় ।গোটা বিষয়টি নিয়ে এজিএমসি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ।সাংবাদিক সম্মেলনে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ডক্টর সঞ্জীব দেববর্মা গোটা বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন ।তিনি জানান, রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম এত কম ওজনের একটি নবজাতককে চিকিৎসা পরিষেবার মাধ্যমে সুস্থ ও স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছে। এর জন্য জিবি হাসপাতাল তথা এজিএমসির চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিনন্দন জানান তিনি।

সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নবজাতকের মা তানিয়া বেগম অস্ত্রু সজল নয়নে জানান ,তার মেয়েকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ছোট করা হবে। তিনি জানান ,চিকিৎসকরা তার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলতে সব কিছু করেছেন ।তাদের কোন কিছুই বলতে হয়নি। সব সময় মেয়ের সুবিধা অসুবিধার প্রতি নজর রেখে চলেছিলেন চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে পৃথিবীতে সবচেয়ে কম ওজনের শিশুকে বাঁচিয়ে তোলার রেকর্ড রয়েছে জাপানে ।সেই শিশুটির ওজন ছিল মাত্র ২৩৮ গ্রাম ।শিশুটিকে সুস্থ ও স্বাভাবিক করতে চিকিৎসকরা সময় নিয়েছিলেন এক বছরেরও বেশি ।রাজ্যে এর আগে ৮০০ গ্রাম ওজনের শিশুকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হয় ।কিন্তু এবার আরো কম ওজনের নবজাতককে বাঁচিয়ে নতুন নজির সৃষ্টি করল জিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

5 × 4 =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য