বাসুদেব ভট্টাচার্জি খোয়াই ২৬ শে সেপ্টেম্বর…. বর্তমান সময়ে দুস্ত ও সাধারণ জনগণের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পরও সমাজের শতকরা হিসাবে নগণ্য অংশের মানুষ রয়েছে যারা আজও দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।এর মধ্যে বড় একটা অংশ আছে যারা সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাদের মেকি সামাজিক ভালোবাসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে। আবার অন্যদিকে একেবারে ক্ষুদ্র অংশের নাগরিক রয়েছেন যারা সামাজিক দায়বদ্ধতাকে মাথায় রেখে দুস্থ মানুষের অসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেন, সেখানে অবশ্য এত বেশি প্রচারের বহর থাকে না। গত বেশ কিছু বছর ধরে সামাজিক মাধ্যমে খোয়াই এর এক ব্যক্তি বিভিন্ন সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিবিরে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। অথচ এই ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের তেমন কোনো পদাধিকারী নয়। সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই লক্ষ্য করা যায় দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো অর্থাৎ বই খাতা কলম এমনকি পরীক্ষার ফিস এই সমস্ত প্রদান, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, ঔষধপত্র কিনে দেওয়া চিকিৎসার খরচ বহন করা। গরিব অসহায় পরিবারের কোন কন্যার বিবাহতে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া এইরকম বিভিন্ন কর্মকান্ড করে আসছেন। যা সামাজিক মাধ্যমে লক্ষ্য করলে প্রায়ই দেখা যায়। এমনই একটি ঘটনা খোয়াই বিধানসভার অন্তর্গত ১৫ নং বুথের বাসিন্দা কেসব কর পেশায় কাঠমিস্ত্রি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। উনাকে দেখতে গিয়েছিলেন কিছুদিন আগে ঐ সাধারণ সমাজসেবী। গিয়ে অসুস্থ কেশব করের সঙ্গে আলোচনা ক্রমে জানতে পারেন উনাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য অ্যাপোলো হসপিটালে পাঠানো হবে। সঙ্গে সঙ্গে যথারীতি কিছুটা অর্থনৈতিক সাহায্য সহযোগিতা করেন এবং কথা দিয়ে আসেন দুস্থ অসহায় দিনমজুর কেশব কর কে কথা দিয়ে আসেন রাজ্যের বাইরে উন্নত চিকিৎসা করাতে যেতে আসা-যাওয়ার বিমানের টিকেট তিনি কেটে দেবেন। যথারীতি বুধবার রাতে গিয়ে অসুস্থ দিনমজুর কেশব করকে দেওয়া কথামতো বিমানের টিকেট দিয়ে আসেন। এইরকম কর্মকাণ্ড অর্থাৎ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মত কর্মকাণ্ড নিরলস ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন ঐ সাধারণ সমাজসেবী। তিনি হলেন খোয়াইয়ের সুনামধন্য প্রয়াত শিক্ষক অনিল দত্ত ভৌমিক এর সুপুত্র অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক। এই সমস্ত কর্মকাণ্ড অর্থাৎ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে সাহায্য সহযোগিতা হাত বাড়ানো। এই বিষয়গুলি নিয়ে খোয়াইয়ের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন জনগণ উনাকে সাধুবাদ জ্ঞাপন করতে কুন্ঠিত হন না। নিঃস্বার্থভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অভিজিৎ বাবু অনেকটাই প্রশংসা দাবি রাখে ।