আজ ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং রবিবার ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক রিটায়ার্ড স্টাফ এসোসিয়েশনের ৫ম দ্বি বার্ষিক সম্মেলন সকাল ১০টায় ত্রিপুরা স্টুডেন্ট হেল্থ হোমের প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশ্য সমাবেশের শুরুতে সমিতির সভাপতি সুব্রত মজুমদার সমিতির পতাকা উত্তোলন করেন। তারপর শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ বিকাশ দেবনাথ। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের করার পর সম্মেলনের মূল কাজ শুরু হয়। সম্মেলনের সভাপতি মন্ডলিতে উদ্বোধক,প্রধান অতিথি,বিশেষ অথিতি,প্রধান বক্তা,প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারপার্সন ছাড়াও ছিলেন জেএএফ এর চেয়ারম্যান শ্রী বিজন ধর, সমিতির সভাপতি সুব্রত মজুমদার, সমিতির সম্পাদক রাধা মোহন সিনহা,সর্বভারতীয় নেতৃত্ব তথা ব্যাংক কর্মচারী আন্দোলনের পুরোধা শ্রী সমীর দেববর্মা মহোদয়। সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ সুচারুভাবে পরিচালনা করেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ বিকাশ রঞ্জন দেবনাথ। সম্মেলনের শুভ সূচনা করেন অবিভক্ত ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সামিতির প্রথম সাধারন সম্পাদক তথা সুপ্রসিদ্ধ কণ্ঠশিল্পী শ্রী পান্না লাল দত্ত। সম্মেলন উদ্বোধন করে শ্রী দত্ত নিজেই একটি সুমধুর সঙ্গীত পরিবেশন করে সকলকে মুগ্ধ করে দেন। এই সঙ্গীতের মাধ্যমেই সম্মেলনের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়।
সম্মেলনের প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন সূদূর কর্নাটক থেকে আগত NFRRBS -র সাধারণ সম্পাদক গণপতি হেগড়ে ও প্রধান বক্তা ছিলেন কোলকাতা থেকে আগত NFRRBO -র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল সৈয়দ খাঁন। বিশেষ অথিতি ছিলেন NFRRBO-র কোষাধ্যক্ষ শ্রী বিধান চক্রবর্তী। বর্তমান আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল ছিল অল ইন্ডিয়া রিজিওনাল রুরাল ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশনের প্রাণ পুরুষ তথা প্রতিষ্ঠাতা দাদা মুখার্জির জন্মদিবস, কিন্ত আজও সম্মেলনস্থলে সকলে মিলে উনার স্মৃতি চারণ করে জন্মদিন পালন করেন।
স্বাগত ভাষন রাখেন সম্মেলনের চেয়ারপার্সন শ্রী সমীর ভট্টাচার্য্য। সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিরা সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের উপর স্বতস্ফূর্ত আলোচনা করেন।আজ ২০৭ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বক্তা ও প্রধান অথিতি উভয়েই অবসর প্রাপ্তদের ন্যায্য অধিকার ও দাবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। দাবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য –
১) সারা ভারতের গ্রামীণ ব্যাংক অফিসার্স ও কর্মীদেরকে ০১-১১-১৯৯৩ ইং থেকে কম্পিউটার ইনক্রিমেন্ট প্রদান করার জন্য ভারত সরকারের অর্থ দপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক আগামী অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রদান করতে হবে।
২) বাণিজ্যিক ব্যাংকের ন্যায় ০১-১১-১৯৯৩ ইং থেকে পেনশন চালু করতে হবে ও অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অর্থ কর্মীদের প্রদান করতে হবে সুপ্রিম কোর্টে ভারত সরকারের এফিডেভিট মূলে।
৩) সারা ভারতের ৪৩ টি গ্রামীণ ব্যাংককে রাজ্যভিত্তিক একত্রিত করতে হবে। অর্থাৎ একটি রাজ্যে একটি গ্রামীণ ব্যাংক।
৪) রাজ্যভিত্তিক গ্রামীণ ব্যাংকগুলিকে নিয়ে গঠন করতে হবে জাতীয় গ্রামীণ ব্যাংক অর্থাৎ ন্যাশনাল রুরাল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া।
এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী ও অফিসার্সদের তথা অবসরপ্রাপ্তদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে সর্ব ভারতীয় নেতৃত্বগন বিস্তারিত আলোচনা করেন। সকলকে সংগ্রামী অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিদায়ী সভাপতি শ্রী সুব্রত মজুমদার।
সম্মেলন থেকে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী দুই বছরের জন্য ২১ সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সভাপতি – শ্রী সুব্রত মজুমদার
সাধারন সম্পাদক – শ্রী বিকাশ রঞ্জন দেবনাথ
কোষাধ্যক্ষ – শ্রী প্রেমময় মজুমদার
হিসাব পরীক্ষক – শ্রী স্বপন দাস (৩)
বিকাশ রঞ্জন দেবনাথ
সাধারন সম্পাদক
ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাংক রিটায়ার্ড স্টাফ এসোসিয়েশন।