ক্রীড়া প্রতিনিধি
রাজ্য ক্রীড়া জগতে যুক্ত হলো আরও একটি সাফল্যের রঙ্গিন পালক। দাবায় নজীর গড়ে রাজ্যের ক্রীড়া ইতিহাস সমৃদ্ধ করলো দাবাড়ু আর্শিয়া দাস। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ দাবায় প্রথমে ব্লিটজে এবং রবিবার র্যাপিড দাবায় সোনার পদক দখল করে হোলিক্রশ স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীটি। একই আসরে দুটো সোনা জয় করলো ত্রিপুরার প্রথম দাবাড়ু হিসাবে। অনূর্ধ্ব-১৪ বিভাগে ৭ রাউন্ডে সাড়ে ৬ পয়েন্ট পেয়ে অপরাজিতভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মেট্রিক্স চেস আকাদেমির গর্ব দাবাড়ুটি। এর আগে রাজ্যের কোনও দাবাড়ু কমনওয়েলথ এর মতো আন্তর্জাতিক আসর থেকে সোনার পদক পায়নি। অর্শিয়াই ত্রিপুরার প্রথম দাবাড়ু যার হাত ধরে সোনার পদক দখল করে আন্তর্জাতিক দাবার আসরে দেশের পাশাপাশি রাজ্যের নামও লিপিবদ্ধ করলো। এর আগে জুন মাসে ওয়েস্টার্ণ এশিয়া দাবা প্রতিযোগিতায়ও দলগত ভাবে স্বর্ণপদক জয় করেছিলো পূর্ণেন্দু এবং অর্ণিশা দাসের একমাত্র মেয়েটি। প্রসেনজিৎ দত্ত-র পর রাজ্য দাবাকে সমৃদ্ধ করে চলেছে আর্শিয়া। রাজ্যের ফুটফুটে ওই মেয়েটি এখন শুধুমাত্র রাজ্য নয় দেশেরও গর্ব। অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে দেশকে। নিজের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে আরও এককদম এগিয়ে গেলো বলা যায়। এখন দেখার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে কতটা সময় নেয় ত্রিপুরার চতুর্দশী মেয়েটি। রাজ্য ক্রীড়াপ্রেমীদের প্রত্যাশা নিশ্চয় স্বপ্ন পূরণে সফল হবে আর্শিয়া। আরও বড় সাফল্যের আগে কমনওয়েলথ গেমসে ডাবল সোনা জয় তারই একটি ধাপ বলা যায়। এখন আর্সিয়ার তৃতীয় লক্ষ্য ক্লাসিক্যাল দাবায় সাফল্য পাওয়া। আপাতত ৩ ম্যাচ খেলে দেড় পয়েন্ট নিয়ে কিছুটা পিছিয়ে। পরবর্তী ৬৪ ঘরের লড়াই য়ে নিজেকে উজার করে দিতে পারলে সেই লক্ষ্যও বেশী দূরে নয়। ক্রীড়া প্রেমী হিসাবে অবশ্যই চাইবো ক্লাসিক্যাল দাবায়ও সোনা জয় করবে পূর্বোত্তরের প্রথম মহিলা কেন্ডিডেট মাস্টার দবাড়ুটি। আর্শিয়ার সাফল্যে খুশি রাজ্যের দাবা প্রেমীরাও।