বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১ লা সেপ্টেম্বর……… খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজার নিহার দেববর্মার এক হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে খোয়াই সুভাষ পার্ক এলাকায় চলে আসা ১০ দিন ব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী মেলার ব্যবসায়ীদের কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতিতে খুব্ধ সমস্ত ব্যবসায়ীরা । খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তরের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতির মাসুল গুনছে মেলাতে আসা সমস্ত ব্যবসায়ীরা। দেখাগেছে খোয়াইতে চলছে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং ঐতিহ্যপূর্ণ শ্রী শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব। এই উৎসব কে কেন্দ্র করে মহামিলন মেলার আয়োজন করা হয় প্রতিবছর। এই মেলাতে রাজ্য সহ বহিঃ রাজ্যে থেকে অনেক দোকানদার আসেন এই মেলা কে উপলক্ষ্য করে বিভিন্ন মিষ্টির দোকান থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্ট, আইসক্রিম সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বহু আশা নিয়ে খোয়াইতে অংশগ্রহণ করে ব্যবসা করার জন্য । আর এর মধ্যেই চলছে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ সমস্যা ।এই প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যেও বিদ্যুৎ দপ্তরের তালবাহানা লেগেই রয়েছে বিদ্যুৎ আসছে আর যাচ্ছে ঘন্টায় ঘন্টায় একই রকম অবস্থা তার সাথে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন এলাকাতে চলছে লো ভলটটিস । এই বিষয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে খবর রয়েছে লো ভোল্টেজের শিকার হচ্ছে অনেক এলাকা ।বিষয়টা শুধু মাত্র শহরতলীতে নয় শহর ছারা বিভিন্ন এলাকাতে ও এই একই অবস্থা চলছে বিগত কয়েকদিন ধরে । এর ফলে ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দোকানদার এবং কীর্তনীরা । উৎসব কমিটর এক সদস্য বাবুল ঘোষ জানান খোয়াই তথা রাজ্যের ঐতিহ্য বাহী মেলা চলছে খোয়াইতে অথচ খোয়াই বিদ্যুৎ দপ্তর মন্দির কমিটির সাথে কোন যোগাযোগ ছাড়াই রবিবার সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নাকি বিদ্যুৎ থাকবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় ।অথচ মন্দির প্রাঙ্গনে ব্যবসায়ীদের জন্য বিদ্যুতের অনুমতি নিয়ে যথাযোগ্য ভাড়াও তাদেরকে দেওয়া হয়েছে । এদিকে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না থাকাতে দোকানদারের প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।সাধারণ জনগণ সহ মেলা কমিটির একটি কথা আগামী মঙ্গলবার মেলা শেষ হতে চলেছে। তখন নয় দু’দিন বাদেও তো এই লোডশেডিং দেওয়া যেত। এত সুন্দর উৎসব চলাকালীন বিদ্যুৎ দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত একটা বড় ব্যর্থতা প্রমাণ এক হটকারি সিদ্ধান্তের কারণে । বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজার নিহার দেববর্মার এই গাফিলতির কারণে দোকানদার এবং কৃষ্ণ ভক্তরা এই বিষয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কারণ সকাল দশটা থেকে সন্ধে ছয়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকলে মেলাতে আসা বিভিন্ন আইসক্রিম বিক্রেতা, মিষ্টির দোকান এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের জিনিসপত্র ফ্রিজে রাখতে পারবেনা । কারণ বিদ্যুৎ না থাকলে ফ্রিজ ও কাজ করবেনা তাতে করে তাদের কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতির মুখ দেখতে হবে ।এবং হয়েছে বলেও জানা যায় কারণ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বিভিন্ন আইসক্রিম গুলি গলে জল হয়ে যায় । এবং বিভিন্ন রেস্তোরার জিনিসপত্র যা ফ্রিজে রাখা হয় টা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে বল অনেক ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। একেতো চলছে প্রচন্ড দাবদাহ তার মধ্যে বিদ্যুৎ দপ্তরের এই খামখেয়ালিপনা অন্যদিকে বিদ্যুৎ দপ্তর নাকি মাইক যুগে প্রচার করেছে যে রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না । তাদের এই প্রচার খোয়াই বাসি শুনতেও পায়নি । কারণ এই উৎসবকে কেন্দ্র করে চারিদিকে মাইক বেজে চলেছে তার মধ্যে বিদ্যুৎ দপ্তরের মাইকিং জনগণ শুনতে পায়নি। সে নাহয় অন্য কথা কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তর কেন মেলা চলাকালীন সময়ে এই কাজটি করতে গেল সেই প্রশ্নটাই করছে মেলা কমিটির সহ সমস্ত খোয়াই বাসি। পাশাপাশি তার পেছনে কোন চক্রান্ত রয়েছে কিনা বিদ্যুৎ দপ্তরের সেই বিষয়ে সন্ধিহান রয়েছে মেলা কমিটির লোকেরা বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজার নিহার দেববর্মার এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই এক্সপার্ট ।কারো সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ না করেই নিজের মর্জি মাফিক বিদ্যুতে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন ।আর তাতে করে খেসারত দেন সাধারণ জনগণ । এখন দেখার বিষয় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী মেলা আরো দুইদিন রয়েছে তাছাড়া সামনেই বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গোৎসব সেই দিনগুলি বিদ্যুৎ পরিষেবা কতটুকু স্বাভাবিক রাখেন সেটাই দেখার বিষয় ।তবে রবিবার বিদ্যুৎ দপ্তরের উদ্যোগে খোয়াই মহকুমা জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে যে কাজটি করা হয়েছে তাতে করে বিদ্যুৎ দপ্তরের উপর বেজায় চটেছে সাধারণ জনগণ । বিশেষ করে জন্মাষ্টমী মেলা চলাকালীন বিদ্যুৎ পরিষেবা আট ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়াতে ।যদি বিদ্যুৎ দপ্তরের এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত এবং নিয়ম নীতি আগামী দিন চলতে থাকে তাহলে কোন একদিন বিদ্যুৎ দপ্তরকে জন রোসের মুখোমুখি হতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।