প্রকৃতির রোষানলে তথা ভারী বর্ষণ ও আকস্মিক জলস্ফীতির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি শহর আগরতলার একাংশ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজ নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে পরিদর্শনে যান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে কর্পোরেটররা । বৃহস্পতিবার সকালে বন্যার জলে নেমে নিজ এলাকাবাসীদের খোঁজ খবর নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। এদিনের পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, এলাকার কর্পোরেটর হিমানী দেববর্মাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে জানান আমি একটা কথা বলব, কেউ বিপদে নেই। আমরা আগেও অনেক হইচই করছিলাম যে সবাই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। আমলপুরের অবস্থা খুবই খারাপ। আমি আজ সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি, তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে দুটি হেলিকপ্টার রয়েছে যা এয়ারলিফ্ট করা যেতে পারে।এবং দল তাদের পাঠাচ্ছে। আর আমি বোটের কথা বলেছি। বোট আছে। সুতরাং, কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের কাছে পৌঁছানো হবে। তাই, সবাই তাদের সেরাটা করছে। আমাদের পূর্ণ প্রশাসন সেখানে আছে। আমাদের এইচডিআরআই, ইন্ডিয়া রেপ্টাইল ডিপার্টমেন্ট , দুটি দল আছে। তাছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুবই কঠিন। আমরা এটা সামলাতে সক্ষম নই। আমরা সব জায়গায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। নদীগুলোর অবস্থা কেমন? সেদিকেও নজরদারি চালানো হচ্ছে ।এটাই সবচেয়ে বড় কথা। পানির স্তর বিপদসীমার চেয়ে বেশি। এ পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে বাঁধের গেট থেকে জল ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় আছে কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।