রাজ্য সরকার ও জুটমিল কর্তৃপক্ষকে আট সপ্তাহ সময় বেঁধে দিল ত্রিপুরা উচ্চ আদালত। এই সময়ের মধ্যে জুটমিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বুধবার একথা জানান বরিষ্ঠ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণ।হাইকোর্ট আগেই রায় দিয়েছিল জুটমিলের শ্রমিক- কর্মচারীদের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। অভিযোগ সরকার সবার বকেয়া মিটিয়ে দেয়নি। তাই হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেন জুটমিলের শ্রমিক কর্মচারীরা। বুধবার মামলাটি উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য উঠে।হাইকোর্টে জুটমিল এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত ১৯১ শ্রমিককে আদালতের রায় মতো অর্থ দেওয়া হয়েছে।এতে জুটমিলের ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও ২২৭ জন বকেয়া পাবেন। তাদেরকে অর্থ দেওয়ার জন্য জুটমিলের আরও ৩৫ কোটি টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা যোগার করার জন্য জুটমিল কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ২০০ কোটি টাকা ঋনের জন্য আবেদন করেছে। পাশাপাশি জুটমিলের জমি জরুরী ভিত্তিতে বিক্রয় করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই হাইকোর্টে এদিন ৮ মাস সময় চায় জুটমিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাইকোর্ট ৮ সপ্তাহ সময়সীমা বেধে দিয়েছে। নাহলে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করা হবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এদিন শ্রমিক কর্মচারীদের পক্ষের আইনজীবী জানান, জুটমিল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকার শ্রমিক কর্মচারীদের যে সংখ্যা দেখাচ্ছে টা ঠিক নয়। এই সংখ্যা আরও বেশি হবে। তাই তিনি জানান আগামী দিনে আদালতের দৃষ্টিতে নেওয়া হবে। দাবি রাখা হবে সম্পূর্ণ রায় কার্যকর যাতে করা হয় এবং কোন শ্রমিক- কর্মচারীকে যাতে বঞ্চিত করা না হয়।