বাসুদেব ভট্টাচার্জী খোয়াই১৭ই জুলাই….একেই বলে কলিযুগের প্রভাব ।কলিযুগের মধ্যভাগে এসে এই যুগের মানুষের মধ্যে পাপাচারে ভরে গেছে।কু কাজ এবং অন্যায় কাজ করতে মানুষ একটি বারের জন্যও ভাবে না আর তাতে করে দিন দিন সমাজ অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে।আর এই কলিযুগের প্রভাবে মানুষ যা খুশি তাই করতে পারে নিজের ছেলে মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ও করে এই কলিযুগের প্রভাবের কারণে।তেমনি এক ঘটনা ঘটলো খোয়াই থানাধীন রতনপুর এলাকার রাধানগর গ্রামে মঙ্গলবার গভীর রাতে।ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ জানায় খোয়াই থানাধীন রতনপুর এলাকার রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা পার্বতী ঝড়া ৫৫ কে নিজের ছোট ছেলে হরিচরণ ঝরা ২৬ ঘুমের মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মার গলা কেটে আলাদা করে দেয়। মৃত পার্বতী ঝড়ার পাঁচ ছেলে সন্তান রয়েছে তারমধ্যে সবার ছোট ছেলে এই ঘটনাটি ঘটায় এবং এও জানা যায় মানুসিক বিকারগ্রস্ত হবার কারণেই নাকি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ছেলে হরিচরণ ঝরা।তবে অন্যদিকে এলাকা সূত্রে এবং তার বড় ভাই কৃষ্ণ ধন ঝড়া জানান গত বছর দেরেক ধরে হরিচরণ ঝরা মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।যদিও এর আগে সে ভালো ছিল অন্যের রাবার বাগানে কাজ করতো কিন্তু গত বছর দেরেক ধরে সে মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যার ফলে কোন কাজকর্ম করত না সারাদিন বাড়িতেই বসে থাকতো এবং বির বির করে কিছু বলতো আবার অনেক সময় এলাকা বাসিকেও যন্ত্রণা দিত ।শেষে তার মা পার্বতী ঝড়া মঙ্গলবার ছেলেকে নাকি বলেছে তোকে ডাক্তার দেখাবে সেই মর্মে মা ছেলেকে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ পত্রও কিনে নিয়ে যায় বলে জানান মৃত পার্বতী ঝরার বড় ছেলে কৃষ্ণ ধন ঝরা।ছেলের হাতে মা খুন হয়েছে এই খবরটি প্রকাশ হতেই রতনপুর রাধানগর এলাকায় চাঞ্চল্য ছরিয়ে পড়ে।শেষে খবর দেওয়া হয় খোয়াই থানায় এই খবর পেয়ে পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি মজুমদার,খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয় ।এবং পুলিশ দেখতে পায় মাকে হত্যা করে ছেলে হরিচরণ ঝড়া মার মাথা এবং দেহ ঘরে মেঝেতে আলাদা করে রেখে দা নিয়ে খাটের উপর বসে আছে ।এই সব দৃশ্য দেখতে পেয়ে পুলিশ প্রথমে তার ঘরটিকে ঘেরাও করে এবং পুলিশ পরিকল্পনা করে দরজা ভেঙে ঢুকতে গেলে যদি পুলিশের উপর আসামি হরিচরণ ঝরা হামলা করে তার জন্য পুলিশ আগে থেকেই টি আর গ্যাস নিয়ে গিয়েছিল যদিও সেটা কাজে লাগেনি এক সময় পুলিশ এবং টি এস আর মিলে ঘরের উভয় দিকের দরজা লাথি মেরে ভেঙ্গে হত্যাকারীকে সাথে সাথে জাপটে ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে।মৃত পার্বতী ঝড়ার অন্য চার ছেলেরা মাকে হত্যা করছে ছোট ভাই এই বিষয়ে কিছুই জানতে পারেনি ঘুমের মধ্যে বলে জানান তার বর ভাই কৃষ্ণ ধন ঝড়া ওরা বুধবার ভরে ঘটনাটি টের পায়।শেষে পুলিশ হত্যাকারী হরিচরণ ঝড়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে ।অন্যদিকে এই হত্যার পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা তা খুঁজতে ফরেনসিকের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিভিন্ন জিনিস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ।এরপর মৃতদেহ খোয়াই জেলা হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয় এবং ময়নাতদন্তের পর পার্বতী ঝরার মৃতদেহ অন্য চার ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।এই বিষয়ে একটি হত্যার মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানায় পুলিশ।