আগামী ১৪ জুলাই থেকে চতুর্দশ দেবতা মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হবে ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব ও মেলা। আগামী ২০ জুলাই উৎসব ও মেলার সমাপ্তি হবে। ১৪ জুলাই সকাল সাড়ে এগারোটায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা খার্চি উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করবেন। এবারের খার্চি মেলার মূল থিম ‘সবুজই ভবিষ্যৎ’। আজ পুরাতন আগরতলা ব্লক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে খার্চি উৎসব ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রতন চক্রবর্তী একথা বলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল।
সাংবাদিক সম্মেলনে উৎসব ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান জানান, এ বছরের খার্চি উৎসবে মেলা কমিটির উদ্যোগে দর্শনার্থী ও পূন্যার্থীদের মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার বিভিন্ন গাছের চারা বিতরণ করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান আরও জানান, উৎসব ও মেলার দিনগুলিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় টিএসআর জওয়ানদের সঙ্গে স্কাউটস এন্ড গাইডস’র সদস্যরাও থাকবেন। মেলা চলাকালীন সময়ে মন্দির প্রাঙ্গণে আগত সাধু সন্তদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও মেলা কমিটির পক্ষ থেকে করা হবে। তাছাড়া উৎসব ও মেলা উপলক্ষে খয়েরপুর এলাকার প্রতিভাবান ছাত্রছাত্রী, খেলোয়াড় ও দিব্যাঙ্গজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উৎসব ও মেলা কমিটির চেয়ারম্যান জানান, এবার পূন্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে খয়েরপুরস্থিত সিএনজি স্টেশন দুপুর ২টা থেকে রাত্রি ২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাছাড়া ভারী মালবাহী ট্রাকগুলি মেলা চলাকালীন সময়ে আমতলিতে এবং মাধববাড়ি ট্রাক টার্মিনালে রাখা হবে। তিনি জানান, মেলার দিনগুলিতে দুটি ভিন্ন মঞ্চে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রাজ্য ও বহিরাজ্যের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত পানীয়জল ও আলোর ব্যবস্থা রাখা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক রতন চক্রবর্তী বলেন, চতুর্দশ দেবতা মন্দির পরিচালনায় ট্রাস্ট গঠনের পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও চতুর্দশ দেবতা মন্দির ও মন্দির পরিসরের উন্নয়নে আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।