Monday, December 23, 2024
বাড়িখবরশীর্ষ সংবাদকংগ্রেস সিপিএম জোট একটি অসুভ জোট তেমনটাই মন্তব্য করলেন নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য...

কংগ্রেস সিপিএম জোট একটি অসুভ জোট তেমনটাই মন্তব্য করলেন নির্বাচনি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি দলে রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য গৌরাঙ্গ টিলা এলাকায়।

বাসুদেব ভট্টাচার্যী খোয়াই ১১ই এপ্রিল…….পূর্ব ত্রিপুরা আসনের উপজাতি সংরক্ষিত আসনে বিজিপি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেব বর্মনকে জয় যুক্ত করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪:৩০ মিনিটে রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভার অন্তর্গত রামচন্দ্র ঘাট মন্ডলের উদ্যোগে একটি নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। এই নির্বাচনি জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি দলের ত্রি দলীয় জোট এর নেতৃত্বরা। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি দলের রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য , মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, রামচন্দ্র ঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা বিজেপি খোয়াই জেলার সাধারণ সম্পাদক সমীর দাস,খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, মন্ডল সভাপতি সঞ্জীব দেববর্মা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।এই নির্বাচনের জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন বিজেপি দলের রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ।তিনি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন সিপিএম কংগ্রেস যে জোট সেই জোট অশুভ তিনি পরিষ্কার করে বলেন এবং তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন সিপিএম কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দদেরকে। তিনি পরিষ্কার ভাষায় বলেন এই জোটের ফলে রাজ্যের মানুষের সেই রকম কোন লাভবান হবে না। সিপিএম দল কে এক হাতে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন লাগতর ৩৫টি বছর এই বামফ্রন্ট সরকার গরিবদের কে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি আদায় করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত মাঠে ময়দানে খাটিয়েছে ।অথচ এই গরিব মানুষরাই যখন কোন কিছু দাবির জন্য নেতাদের কাছে যেত তখন সেই নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধান পর্যন্ত এই গরিব মেহনতী মানুষদের দাবি গুলি পূরণ করার আশ্বাস দিলেও তা করতে গিয়ে কয়েক বছর কাটিয়ে দিত।একটা সময় এমনও গেছে কৃষক আন্দোলনের নামে কৃষকদের স্বার্থসিদ্ধি আদায়ের কারণে রাজ্যের কৃষকদের লাঙ্গল ও জুয়াল গুলি ছাড়িয়ে তাদেরকে দিয়ে রাজনীতি করিয়েছে এতে করে কৃষকরা কৃষি কাজ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে দিন দিন ।আর তাতে করে একটা সময় কৃষকরা না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে ।অথচ যারা কৃষক আন্দোলনের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন এরা কোনদিনই কোন অংশে কৃষক ছিল না এবং কৃষিকাজ সম্বন্ধে তাদের কোন ধারণা ছিলনা । যার ফলে ওরা কোনদিন বুঝতে পারেনি কৃষকরা কি কষ্টের মধ্যে দিয়ে কৃষিকাজ করে তাদের জীবন যাপন করত।এসব করতে গিয়ে রাজনীতির কারণে কৃষকদের কৃষিকাজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখে দিয়েছে যাতে করে তারা বামফ্রন্টের কাছে সর্বদা হাত পেতে থাকে সেই লক্ষ রেখেই ওরা কি সব সময় বিভিন্ন ভাবে খেটে খাওয়া মানুষদেরকে নিয়ে রাজনীতির খেলায় মেতেছিল।কিন্তু ২০১৪ সালে কেন্দ্রে নতুনভাবে বিজেপি সরকার আসার পর এবং ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন হবার পর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে চিন্তা করেছেন আগে কৃষকদের হাতকে শক্ত করতে হবে কারণ দেশের কৃষকটাই হচ্ছে দেশের জনগণের অন্নদাতা।তারা যদি কষ্ট থাকে তাহলে দেশের জনগণ না খেয়ে মরতে হবে ওইসব চিন্তা ভাবনা করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প চালু করেছে বিশেষ করে গরীব অংশের মানুষদের জন্য। এর পাশাপাশি কৃষক সহ বিভিন্ন গরিব অংশের মানুষদের জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন।আর সেই প্রকল্পের কারণে অনেক গরীব অংশের মানুষ আজ উপকৃত হয়েছে।অথচ এই ধরনের চিন্তাভাবনা গত ৩৫ বছরও বামফ্রন্ট সরকার চিন্তা করেনি যার ফলে ২০২৩ সালের সালে নির্বাচনে বামফ্রন্ট দল প্রধান বিরোধীরা আসন থেকে ছিটকে গিয়ে তৃতীয় স্থানে চলে যায় প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তকমা পায় অন্য আরেকটি দল।এর থেকে বোঝা যাচ্ছে জনগন তাদের হাতে আর ক্ষমতা দিতে চায় না।তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শ্রী ভট্টাচার্য এই এলাকার জনগণের কাছে আবেদন করেন আগামী ২৬ শে ফেব্রুয়ারি পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ত্রি দলীয় জোট প্রার্থী কৃতি সিং দেব বর্মনকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার জন্য, যাতে করে সিপিএম দলের প্রার্থী র জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় এবং লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা রাজ্যের পূর্ব ত্রিপুরার আসনটি সর্বাধিক ভোট পেয়ে জয়ী হয় নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দিতে পারে। তাছাড়া এই জনসভায় অন্যান্য বক্তারা তাদের আলোচনা তুলে ধরেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বক্তা ছিলেন অনিমেষ দেববর্মা এবং রঞ্জিত দেববর্মা, যদিও রঞ্জিত দেববর্মা ককবরক ভাষায় বক্তব্য রাখেন। সভায় অনিমেষ দেববর্মা তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন সিপিএম কংগ্রেস নেতৃত্বদের। তিনি পরিষ্কার বলবার চেষ্টা করেন সিপিএম যতবারই রাজ্যের মসনদে ছিল পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে দাঙ্গা তরী করবার চেষ্টা করেছেন যার ফলে আমাদের রাজ্যে দুই দুইবার পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল১৯৮০ সাল এবং ১৯৯৭ সালে। এই জনসভা শেষ করে রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য খোয়াই মন্ডলের উদ্যোগে খোয়াই শহরে এক রোড শুতে অংশগ্রহণ করেন এই রোড শো খোয়াইমন্ডল থেকে শুরু করে সুভাষ পার্ক নৃপেনচ ক্রবর্তী এভিনিউ, তবলা চৌমুন ,টিকে ডিকে রোড হয়ে পুনরায় খোয়াই মন্ডলে এসে সমাপ্তি হয়। খোয়াই মন্ডলের উদ্যোগে রোড শো এর প্রথম সারিতে ছিলেন বিজিপি রাজ্য সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য খোয়াই মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার ,পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দাস,বিশিষ্ট সমাজসেবী অভিজিৎ দত্ত ভৌমিক, লোকসভা নির্বাচনে খোয়াই জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য অসিত গোপ, পুর পরিষদের চেয়ারম্যান দেবাশিস নাথ শর্মা সহ অন্যান্যরা। এই রোড শুতে জনগণের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয় রোড শো শেষ মন্ডল কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখেন মন্ডল সভাপতি সুব্রত মজুমদার।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

7 − three =

- Advertisment -spot_img

জনপ্রিয় খবর

সাম্প্রতিক মন্তব্য